ঢাকা রবিবার, ২৪শে আগস্ট ২০২৫, ১০ই ভাদ্র ১৪৩২


যে কারণে সিইসির সামনে হাতাহাতির ঘটনা


প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসনের পক্ষে-বিপক্ষে দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ছবি : সংগৃহীত

সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তি শুনানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসনের পক্ষে-বিপক্ষে দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রোববার (২৪ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সিইসির সামনে এই ঘটনা ঘটলে নির্বাচন কর্মকর্তারা দুই পক্ষকে নিবৃত করেন, শুনানির সময় সাংবাদিকদের অডিটোরিয়ামে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

যে আসন নিয়ে হাতাহাতি’র ঘটনা:

*ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: ২০২৪ সালে ছিল সরাইল, আশুগঞ্জ,

২০২৫ সালে এবার করা হয়েছে- সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলার বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর ইউনিয়ন

*ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: ২০২৪ সালে ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর।

এবার করা হয়েছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এবং বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর, চম্পানগর, পত্তন, দক্ষিণ সিংগারবিল, বিষ্ণপুর, চর ইসলামপুর ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন

যে কারণে হট্টগোলের ঘটনা:

নিজেদের উপজেলা অখন্ডতা চাইতে এসে, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানিতে অংশ নেন নেতারা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের খসড়া প্রকাশের পর পক্ষে ও বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে। শুনানিতে অংশ নিয়ে বিএনপির রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন। আর অন্যান্য বেশ কয়েকজন খসড়ার বিপক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।

খসড়ার বিপক্ষে থাকা শুনানিতে অংশ নেতারা বলেন, ‘বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন (বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। তারা উপজেলা অখন্ড চায়।’

পরে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনের প্রার্থী শুনানি থেকে বেরিয়ে বেলা ২টার দিকে বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো এখানে একটি মারামারি হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আইনজীবী আমি মনে করেছি, আমার কেস আমি নিজেই প্রেজেন্ট করব।’ গেল ১৫ বছরে যা হয় নি তা-ই রোববার ঘটেছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর যিনি প্রার্থী আর তার সঙ্গে ২০/২৫ জন মিলে গুন্ডা পান্ডার মতন আচার আচরণ করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। আমি মনে করি এটা কমিশনের গাম্ভীর্য এবং সম্মানের সঙ্গে যায় না।’