নকলায় ২০২৭৮ জনকে দেওয়া হবে টাইফয়েড ভ্যাকসিন

শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনায় উপজেলার ২০ হাজার ২৭৮ জন শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে সরকারি ভাবে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০ হাজার ১২৭ জন ছেলে ও ১০ হাজার ১৫১ জন মেয়ে। ৯ মাস বয়সী শিশু থেকে ১৪ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী কিশোর-কিশোরীদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
আগামী ১২ অক্টোবর রবিবার থেকে শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৮ দিনব্যাপি এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন চলবে। স্কুল পর্যায়ে ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ দিন ব্যাপি এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই টিকা প্রদান করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই (এমটিইপিআই) মো. আব্দুর রহিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই ভ্যাকসিন গ্রহনের জন্য ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। যাদের জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি, তাদেরকে দ্রুত জন্ম নিবন্ধন করে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডা. মালিহা নুঝাত জানান, স্কুল পর্যায়ে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু কিশোরদের পূর্বনির্ধারিত সুবিধাজনক কেন্দ্রে প্রথম ১০ দিন ব্যাপি এই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। পরে কমিউনিটি পর্যায়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের পুরাতন ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রতি ওয়ার্ডে ৮টি করে টিকাদান কেন্দ্রে এই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এতে প্রতি ইউনিয়নে ২৪টি করে মোট ২১৬টি অস্থায়ী কেন্দ্র ও একটি স্থায়ী কেন্দ্র (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স)-এ বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, উপজেলার গনপদ্দী ইউনিয়নের ১ হাজার ৩৭৯ জন ছেলে ও ১ হাজার ২৮১ জন মেয়ে, নকলা ইউনিয়নের ১ হাজার ৪৩ জন ছেলে ও ১ হাজার ১৯ জন মেয়ে, উরফা ইউনিয়নের ১ হাজার ৭১ জন ছেলে ও ১ হাজার ৯৭ জন মেয়ে, কুর্শাবাদাগৈড় (বর্তমান গৌড়দ্বার) পৌরসভাসহ ১ হাজার ১৮২ জন ছেলে ও ১ হাজার ২২৭ জন মেয়ে, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ১ হাজার ১৯৪ জন ছেলে ও ১ হাজার ১৮২ জন মেয়ে, পাঠাকাটা ইউনিয়নের ১ হাজার ১১ জন ছেলে ও ১ হাজার ১১৮ জন মেয়ে, টালকী ইউনিয়নের ৮৪৯ জন ছেলে ও ৮৭৮ জন মেয়ে, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ১ হাজার ১৫৫ জন ছেলে ও ১ হাজার ১৯০ জন মেয়ে এবং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের ১ হাজার ২৪৩ জন ছেলে ও ১ হাজার ১৫৯ জন মেয়েকে এক ডোজ টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রথম সারির ও দ্বিতীয় সারির দুই স্তরের তদারককারী কর্মকর্তাগন নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন বলে ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান।