ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে আগস্ট ২০২৫, ১৩ই ভাদ্র ১৪৩২


নেছারাবাদের বলদিয়ায় স্ত্রীকে ছাড়ার পায়তারায় নানান ফন্দি

নেছারাবাদের বলদিয়ায় স্ত্রীকে ছাড়ার পায়তারায় নানান ফন্দি


প্রকাশিত:
২৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:৫৭

নেছারাবাদের বলদিয়া ইউনিয়নের উড়িবুনিয়া (৮ নং ওয়ার্ড) কেরাম উদ্দিন তালুকদার বাড়ির মোঃ সোবাহান তালুকদারের ছেলে মোঃ রবিউল ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান তানিয়ার সংসার নিয়ে বিশৃঙ্খলা ও ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, রবিউল ও তার স্ত্রীর সাথে বেশ কিছু দিন থেকেই বুনিবোনাদ নেই। সাংসারিক বিভিন্ন কলহের জেরে তারা বিভিন্ন সময়ে শালিস দরবার ডেকেছে। তবুও কোনো সুরাহা না হলে তারা একে অপরের প্রতি বিজ্ঞ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালত ও থানায় মামলাও করেছে।

এ বিষয়ে গত ২৪ আগষ্ট রবিবার স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সুরাহার জন্য স্থানীয় মহিউদ্দিন তালুকদারের বাড়ির উঠানে সোবাহান তালুকদারের মেয়ের জামাই মোঃ মামুন খানের উপস্থিতিতে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শুরু হওয়ার এক পর্যায়ে তাদের দুপক্ষের বিশৃঙ্খলার কারনে শালিসদাররা কোনো মিমাংসা না দিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।

এ বিষয়ে মামুন খান বলেন, বৈঠক চলাকালীন এক পর্যায়ে দুপক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আমি একপর্যায়ে রাগ করে চলে যেতে চাইলে আমাকে রবিউল, রবিউলের বোন, ছোট বোন জামাই, রবিউলের চাচাতো ভাই সহ অনেকে বেধম মারধর করে। অথচ তারা সাংবাদিকের কাছে তথ্য গোপন করে এবং আমার ও আমার শ্যালক বউ ইসরাত জাহান তানিয়াকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। তিনি আরো বলেন, আমি চেয়েছি নিজেদের মাঝে একটা সমঝোতা করতে অথচ তারা আমাকে ও তানিয়াকে নিয়ে নোংরা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য/ অভিযোগ করে এবং তারা আমাকে মারধর করে ঘরের ভেতর আটকে রাখে। পরবর্তীতে আমি নেছারাবাদ থানার এএসআই মোঃ মনিরুজ্জামান ও স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল রায়হান এর সহযোগিতায় সেখান থেকে মুক্তি পাই এবং ঐ রাতেই আমি আমার বাসায় চলে আসি। রবিউল ও তার পরিবার আমাকে ও ইসরাত জাহান তানিয়ার পরের দিন ২৬ আগষ্ট মঙ্গলবার তারা আমার ও ইসরাত জাহান তানিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে যে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে সেটা সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অপব্যখ্যা দিয়ে সাজানো। তারা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এই নগন্য কাজ করেছে।

রবিউল গত ২৬ আগষ্ট মঙ্গলবার দৈনিক বাংলার রুপ অনলাইন পত্রিকায় "নেছারাবাদের বলদিয়ায় মেয়ের জামাইয়ের প্রতিহিংসার খপ্পরে অসহায় পরিবার" শিরোনামে ভুয়া তথ্য দিয়ে যে নিউজটি করিয়েছে সেটা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ইসরাত জাহান তানিয়া মুঠোফোনে জানান, রবিউল ও তার ছোট বোন মাহফুজা, বোন জামাই রুবেল মিলে আমার ও আমাদের আড়াই বছর বয়সী সন্তানের উপর নানা রকম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালায় এবং আমার নামে বিভিন্ন রকমের মিথ্যা মামলা করে। এরপরেও আমি সন্তানের কথা ভেবে রবিউলের সংসার করে যাই বছরের পর বছর। এরই মধ্যে তারা আবার আমার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে এবং রবিউল আমাকে এবং আমার আড়াই বছর বয়সি ছেলেকে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার বাবার বাড়ি ফেলে রাখে। পরে আমি নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নেই। বর্তমানে আমি এবং আমার আড়াই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে খুবই দুর্বিসহ জীবন যাপন করছি। এখনো রবিউল ও তার পরিবারের হুমকির মুখে দিন কাটাচ্ছি।

এমতাবস্থায় রবিউল সহ তার পরিবার ঘটনার মোড় অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য আমার ও মামুন খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করে আমাদের মান সম্মানের হানি ঘটায় এবং তারা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালায়। যেটা বিভ্রান্তিকর ও গুজব। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয়ে মামুন খানের স্ত্রী মুঠোফোনে বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে তাদের সকল অভিযোগ সম্পুর্ন ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। আমার স্বামী ওখানে ভালর জন্য গিয়েছে একটা সুরাহা যাতে হয় অথচ তারা সবাই মিলে আমার স্বামীকে মেরেছে এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে এটা খুবই দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।