ঢাকা বুধবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২রা আশ্বিন ১৪৩২


গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১১ গ্রাম খোলা জায়গায় মলত্যাগ মুক্ত ঘোষণা


প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:২৪

কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১১টি গ্রামকে আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা জায়গায় মলত্যাগ মুক্ত গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বাকখালী কনভেনশন হলে এক বর্ণাঢ্য উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহিম। এরপর অতিথিদের আগমনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইডব্লিউআর প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জনাব সালেহ আহম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজকর্মী, প্রধান শিক্ষক ও ওয়ার্ড মেম্বারবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাইক্ষংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মাইনউদ্দীন খালেদ এবং সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সুপারভাইজার জাবেদুল আনোয়ার।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন “গ্রামীণ মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টা, স্বাস্থ্যসচেতনতা এবং সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলেই আজ গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম খোলা জায়গায় মলত্যাগ মুক্ত হলো। এটি শুধু স্বাস্থ্য নয়, সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রেও এক যুগান্তকারী সাফল্য।”

বিশেষ অতিথিরা বলেন “খোলা জায়গায় মলত্যাগ স্বাস্থ্যঝুঁকি, পানিবাহিত রোগ এবং পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ। এ সাফল্যের মাধ্যমে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রার নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে।”

সভাপতির বক্তব্যে জনাব মাইনউদ্দীন খালেদ বলেন “আজকের এই অর্জন শুধু একটি ঘোষণায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি হবে আমাদের গ্রামের প্রতিটি মানুষের জীবনের অংশ। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হলে পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। খোলা জায়গায় মলত্যাগ বন্ধ হওয়ার মাধ্যমে শুধু রোগব্যাধি প্রতিরোধই নয়, আমাদের গ্রামগুলো হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সুস্থ ও সুন্দর।”

অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, নারী-পুরুষসহ কয়েকশত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথি ও স্থানীয় জনগণ একযোগে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের শপথ পাঠ করেন।

শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজির মাধ্যমে আনন্দঘন পরিবেশে সমাপ্ত হয় উদযাপন।