ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯ই আশ্বিন ১৪৩২


ভালুকায় ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ, ব্ল্যাঙ্ক চেক ও জমির কাগজপত্র ফেরত না দেওয়ায় আদালতে মামলা


প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:১২

ময়মনসিংহের ভালুকায় ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ও ব্ল্যাঙ্ক চেক- জমির কাগজপত্র ফেরত না দেওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন আঃ মালেক নামে এক ভুক্তভোগী।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বনগাঁও, কৈয়াদী এলাকার মৃত: এয়াছিন ফকিরের ছেলে আঃ মালেক চামিয়াদি, কৈয়াদী এলাকার আঃ মান্নানের কথা বিশ্বাস করে নিজ প্রয়োজনে আঃ মালেক অগ্রণী ব্যাংক লি. ভালুকা শাখা থেকে ঋণ গ্রহণের জন্য ২য় পক্ষকে জামানত হিসেবে ২টি স্বাক্ষরযুক্ত ব্ল্যাঙ্ক চেক ও জমির কাগজপত্র প্রদান করেন।

আঃ মালেক জানান, বিশ্বাস করে চেক নং ৫৭৫৯০২২ ও ৫৭৫৯০২৩, হিসাব নং- ০২০০০২৩২৫৪৩৪৭ 0023254347 এর দুইটি ব্ল্যাঙ্ক চেক এবং জমির দলিলপত্র প্রদান করি। কাগজপত্র সংশোধনের কথা বলে আঃ মান্নান তার কাছ থেকে ঋন তোলে দেয়ার জন্য নগদ ৬০ হাজার টাকা নগদ গ্রহন করেন। তিনি আরও বলেন, ঋণ উত্তোলনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমার স্রীর নামে ট্রেড লাইসেন্স ও গবাদি পশু ক্রয়ের রিসিটও সংগ্রহ করা হয়।

জানা যায়, ঋণ মঞ্জুর না হওয়ায় আঃ মালেক (১ম পক্ষ) চেক ও কাগজপত্র ফেরত চাইলে আঃ মান্নান(২য় পক্ষ) জানায় 'চেকগুলো হারিয়ে গেছে।' এ ঘটনায় ১ম পক্ষ গত ২১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভালুকা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১২০৩) করেন।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ১ম পক্ষের স্বাক্ষরিত ব্ল্যাঙ্ক চেক এখনো ২য় পক্ষের হেফাজতেই রয়েছে। (২৩ মে ২০১৫) সাক্ষীসহ ২য় পক্ষের বাড়িতে গিয়ে চেক ও জমির কাগজপত্র ফেরত চাইলে তারা প্রকাশ্যে তা দিতে অস্বীকার করে। আঃ মালেক আরো জানান, 'লাইসেন্স ও গবাদিপশু কেনার রিসিট আ: মান্নান নিজে সংগ্রহ করে দেয়। চেক ফেরত চাইলে আঃ মান্নান বলে চেক হারিয়ে গেছে এই মর্মে একটা জিডি করে রাখ, তাহলেই চলবে। তার কথা মত বর্ননা দিয়েই জিডি করেছি।'

আ: মালেক প্রতারিত হতে পারেন আশংকায় আদালতে মামলা দায়ের করেন যাতে ২য় পক্ষের হেফাজতে থাকা ব্ল্যাঙ্ক চেক ও জমির কাগজপত্র দ্বারা ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা রয়েছে বল উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত নথিপত্র উদ্ধারে সার্চ ওয়ারেন্ট ইস্যুর আদেশ প্রদানের জন্য আদালতের নিকট আবেদন করেন।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার এএসআই মোঃ নাজমুল জানান, আদালতের নির্দেশনায় সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও জমির কাগজপত্র উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে দুইবার সালিশ বসা হয়েছে, এসময় আঃ মান্নান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বীকার করেন বলেও জানা গেছে।