মাগুরায় শিক্ষা অফিসের অবহেলায় উপবৃত্তি বঞ্চিত ৩ শতাধিক স্কুল শিক্ষার্থী

মাগুরার শ্রীপুর শিক্ষা অফিসের খামখেয়ালী ও অবহেলায় উপজেলার ২ ক্লাস্টারের ৪২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তি হওয়া প্রায় ৩ শতাধিক স্কুল শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এঘটনায় স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার দীপ্তি রাণী কর এর বিরুদ্ধে।
উপবৃত্তি বঞ্চিত নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানান, স্কুল পর্যায়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি হওয়া সকল বাচ্চাদের উপবৃত্তির তথ্য যথা সময়ের মধ্যেই ক্লাসটারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা অফিসার দীপ্তি রানী করেন নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপরেও বাচ্চারা উপবৃত্তি না পাওয়ার কারণ তিনিই বলতে পারবেন। তবে স্কুল যেহেতু গ্রাম এলাকায় হয়ে থাকে স্বাভাবিক ভাবেই অভিভাবকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে এ বিষয়ে বার বার অভিযোগ নিয়ে আসছে। এতে আমরা বিভ্রান্তিকর পরিবেশের সম্মুখীন হচ্ছি।
এ ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষা অফিসার দীপ্তি রানী কর দায় এড়িয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, উপবৃত্তির তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের নির্ধারিত সময় কম দেওয়াই সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। এ কারণেই উপবৃত্তির ফাইল শিক্ষা অফিসারের কাছে হস্তান্তর করতে পারিনি। তবে এটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার জানানো হয়েছে।
উপবৃত্তি সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, উপবৃত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে স্কুল পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে দায়িত্বরত সহকারি শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হয়। সহকারী শিক্ষা অফিসার সেটি পুণরায় যাচাই-বাছাই করে শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রেরণ করেন। এরপর শিক্ষা অফিসার পুনরায় যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট প্রেরণ করেন।
দায়িত্বে অবহেলা ও খামখেয়ালী অভিযোগ সম্পর্কে তার কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রাক-প্রাথমিকে যে বাচ্চা গুলো ভর্তি হয়েছিলো তার মধ্যে খামারপাড়া ও চৌগাছি ক্লাস্টারের ৪২ টা স্কুলের তথ্য আমার কাছে আসেনি। এ বিষয়ে দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।