চাকরির বিনিময়ে জমি’ সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট: তীব্র প্রতিবাদ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় "পাকুন্দিয়ায় জমি লিখে নিয়েও চাকরী দেননি মাদ্রাসার সুপার" শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ষাগাতী বালিকা দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলে এক লিখিত প্রতিবাদ লিপিতে জানান মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং সুপার ও সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম।
প্রতিবাদ লিপিতে তারা উল্লেখ করেন, প্রকাশিত সংবাদে মাদ্রাসার সুপার, সাবেক সভাপতি এবং পরিচালনা কমিটিকে জড়িয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টদের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
ঘটনার প্রকৃত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়:
১। জমির বিনিময়ে টাকা গ্রহণ: জোসনা খাতুন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ার শর্তে তার ৭৪ শতাংশ জমি প্রতিষ্ঠানের নামে দান করেন। তবে চাকরির জন্য তিনি জমি দেননি, বরং জমি দেওয়ার বিনিময়ে তিনি মাদ্রাসা তহবিল থেকে দুই কিস্তিতে সর্বমোট ৪ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন, যা চুক্তিপত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে এবং জোসনা খাতুন নিজে, তার মেয়ে ও মেয়ের জামাতা সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন।
২। চাকরির আবেদন না করা: মাদ্রাসার আয়া পদে জনবল নিয়োগের জন্য ০২/০৮/২০২১ ইং তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু জোসনা খাতুনের মেয়ে মোছা: ইয়াসমিন আক্তার উক্ত পদের জন্য কোনো আবেদনই করেননি। সুতরাং তাকে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগটি অবান্তর।
৩। জমির দখল না দেওয়া: জোসনা খাতুন জমির দলিল সম্পাদন করে দিলেও অদ্যাবধি মাদ্রাসাকে জমির দখল বুঝিয়ে দেননি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সরকারি নিয়ম মেনে জমির নামজারি সম্পন্ন করলেও প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তিনি পালন করেননি। নতুন ভবন নির্মাণের সময় তাকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও তিনি তা করতে ব্যর্থ হন।
৪. প্রতিষ্ঠাতার সম্মান লাভ: জমি দান করার পর জোসনা খাতুনকে যথাযথ সম্মান দিয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করা হয় এবং তিনি ১৯-০৭-২০২২ থেকে ০৯-০৩-২০২৩ সালের পরিচালনা কমিটির বিভিন্ন সভায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হলেও তিনি জমির দখল বুঝিয়ে না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছেন।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, জমির দখল বুঝিয়ে দিতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতে এবং বহিরাগতদের প্রভাবে প্রতিষ্ঠানকে হেয় করার জন্য জোসনা খাতুন সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করেছেন।
মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সুপার মো: নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি, কোনো সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করে নেওয়ার জন্য। একই সাথে, আমরা মাদ্রাসার নামে দানকৃত ৭৪ শতাংশ জমির দখল ফেরত চাই।”
প্রেরক,
(সাইফুল ইসলাম)
সভাপতি
বর্ষাগাতী বালিকা দাখিল মাদ্রাসা
পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ
(মো: নজরুল ইসলাম)
সুপার/সম্পাদক
বৰ্ষাগাতী বালিকা দাখিল মাদ্রাসা
পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ।