নকলায় প্রেসক্লাব পরিবারের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষে শেরপুরের নকলায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন পূর্বক সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় সভা করেছেন নকলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া স্থানীয় সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা করেছেন।
বুধবার দিনে ও দিবাগত রাতে প্রেসক্লাব পরিবার উপজেলা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দির পূজা মন্ডপ, গনপদ্দী দক্ষিণ পরি পোদ্দারের বাড়ী দুর্গাপূজা মন্ডপ, গনপদ্দী শীলবাড়ী দুর্গাপূজা মন্ডপ ও গনপদ্দী দক্ষিণ সাহাপাড়া দুর্গাপূজা মন্ডপ, বাদাগৈড় শ্রী শ্রী রক্ষাকালি মাতা মন্দির পূজা মন্ডপ ও চন্দ্রকোনার দেববাড়ী পূজা মন্ডপসহ বেশ কয়েকটি মন্ডপ পরিদর্শন করেন। সংশ্লিষ্ট পূজা মন্ডপ পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা।
পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময়কালে নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার প্রতিনিধি শফিউল আলম লাভলু, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. সেলিম রেজা, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম লালন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী রাজন ও মো. নূর হোসেনসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহবায়ক দেবজিৎ পোদ্দার ঝুমুর ও সদস্য সচিব আশীষ কুমার সাহা, উপজেলা কেন্দ্রীয় কালীমাতা মন্দির পূজা মন্ডপ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শ্রী উত্তম কুমার বণিক ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুরঞ্জিত কুমার বণিক, পরি পোদ্দারের বাড়ী দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রবল পোদ্দারসহ সংশ্লিষ্ট পূজা মন্ডপের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কমিটির অন্যান্য সদস্যগন, স্থানীয় পূজারী ও ভক্তবৃন্দ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য মতে, এ বছর পৌরসভায় ৩টি, গনপদ্দী ইউনিয়নে ৫টি, নকলা ইউনিয়নে ২টি, উরফা ইউনিয়নে ৩টি, বানেশ্বরদীতে ১টি, পাঠাকাটা ইউনিয়নে ২টি, চরঅষ্টধর উইনিয়নে ২টি ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে ২টি মন্ডপে পূজা ও দুর্গোৎসব উদযাপন করা হচ্ছে। তবে উপজেলার গৌড়দ্বার ও টালকী ইউনিয়নে মন্ডপ স্থাপন না হওয়ায় সেসব এলাকার পূজারীরা পাশের এলাকার সুবিধাজনক মন্ডপে পূজা করবেন।
২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হয়েছে। ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপনী ঘটবে বলে দুর্গা পূজা সংশ্লিষ্ট পঞ্জিকা সূত্রে জানা গেছে। শাস্ত্রীয় মতে, এ বছর দেবী দোলায় (পালকি) চড়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন।