নকলায় স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি শুরু

শেরপুরের নকলায় বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন উপজেলা শাখার উদ্যোগে তৃণমূল পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা তাদের ৬ দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্তরে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু হয়। এর ফলে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ই.পি.আই), আসন্ন টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি পূরণে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা এ কর্মসূচি শুরু করতে বাধ্য হয়েছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—নিয়োগবিধি সংশোধন, ইন সার্ভিস ট্রেনিংয়ের সুযোগ প্রদান, ৫ থেকে ১৪তম গ্রেডে আপগ্রেডেশনসহ মোট ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন।
বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, নকলা উপজেলা শাখার সভাপতি মন্তাজুর রহমান লতা, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার শরিফ হোসেন এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জান্নাতুন নাহার মুনমুন কর্মবিরতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তারা বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো বহুদিন ধরে কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা জনগণের সবচেয়ে নিকটতম সেবা প্রদানকারী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করেও আজ অবহেলিত। এজন্য আমাদের এই আন্দোলন সরকারের প্রতি ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান।
এদিকে কর্মবিরতির কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টিকাদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়েছে, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। শিশু টিকাদান, নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা ও টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের প্রস্তুতিও স্থবির হয়ে পড়েছে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতি চলবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, সরকার দ্রুত ইতিবাচক সাড়া দিয়ে মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেবে।