বাংলাদেশিদের ‘যৌন অতৃপ্ত’ বললেন মিস
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিস আয়ারল্যান্ড খ্যাত মাকসুদা আক্তার প্রিয়তী
কিছুদিন আগে নিজের একটি ‘নগ্ন’ ছবি প্রকাশ করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিস আয়ারল্যান্ড খ্যাত মাকসুদা আক্তার প্রিয়তী। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে সে ছবি প্রকাশ করার পর নানাভাবে যৌন নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন। এ তথ্য জানিয়ে এবার বাংলাদেশিদের ‘যৌন অতৃপ্ত’ বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা মেইলের মাধ্যমে নানা কায়দায় তাকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে জানান প্রিয়তি। এর প্রায় সবগুলোই বাংলাদেশিরা করে থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমাদের দেশের মানুষরা অনেক ‘সেক্স ফ্র্যাসটেইটেড’ (যৌন অতৃপ্ত)। ওদের কাছ থেকে ফ্র্যাসটেইশনগুলো একের পর এক বাড়তে থাকে। এ কারণেই মেয়েরা হয়রানি হয়। আপনি যেকোনো একটা মেয়েকে ফোন করেন, তাকে জিজ্ঞেস করেন- তাদের সবারই এই একই ঘটনা।’
advertisement
নিজ দেশের মানুষের কাছেই সবচেয়ে বেশি যৌন হয়রানির শিকার হন জানিয়ে প্রিয়তি বলেন, ‘আমার কাছে নানা ধরনের হুমকি আসে। কেন আমি মডেলিং করি। আমি বাচ্চার মা, আমি কেন ফটোসেশন করি, শরীর কেন দেখাই? প্রতিদিনই নিজের ফেসবুকে বিভিন্নভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় আমাকে।’
সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড আরও বলেন, ‘ওরা হয়তো এটাই হুমকি মনে করে, আমরা নারী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাব বা সাহস দেব। হুমকি মনে করে বলেই হয়তো আমাকে ওরা ভয় পায়।’
advertisement
যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন প্রিয়তি। কিন্তু তাতেও হতাশ হতে হয়েছে তাকে। অনেকটা অভিমানেই তিনি বলেন, ‘অভিযোগ কতগুলো দেবেন, প্রতিদিন দুশো-তিনশ করে? যদি এরকম হতো একটা-দুইটা দেওয়া পর তারা অ্যাকশন নিচ্ছে, যদি আমি আস্থাটা পেতাম।; তাহলে অবশ্যই অভিযোগ করতাম।’
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিস আয়ারল্যান্ড খ্যাত মাকসুদা আক্তার প্রিয়তী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যৌন হয়রানি অনেকবার হয়েছে। এর মধ্যে যে ব্যাপারটি নিয়ে আমি ‘#মিটু’ প্ল্যাটফর্মে কথা বলেছি, সেই মামলাটি এখন ইন্টারপোল দেখছে। তারা তাদের সময় অনুযায়ী প্রসেস করছে। এ ব্যাপারগুলো বেশি করা হয় ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে। আমি আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশি আইনে কী করতে পারি?’
ইউরোপের কারও কাছ থেকে যৌন উত্তেজক কোনো বার্তা পাননি প্রিয়তি। তিনি বলেন, ‘লন্ডন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার মানুষগুলোর কাছ থেকে এমন কোনো কিছু পাইনি। তবে হ্যাঁ, তারা মানতে পারেন না বাংলাদেশি একটা মেয়ে কীভাবে এগিয়ে যাবে, আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে পারবে? ওরা এটা মেনে নেবে ক্যাটরিনা কী করছে, ঐশ্বরিয়া কী করছে; পৃথিবীর সব মেয়েদের মডেলিং-অভিনয় সবকিছু ওরা মেনে নেবে। কিন্তু বাংলাদেশি কোনো মেয়ে যদি আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে চায় ওরা তা মেনে নিতে পারে না। কিন্তু দেখেন, আমাদের দেশে একটা মেয়ে কাজ করতে গেলে হাজারো বাধা আসে। সেখানে আমরা উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট, উইমেন পাওয়ার নিয়ে এত কথা বলি, নারী দিবস পালন করি, কিন্তু এগুলো প্রতিকার করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না।’