ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


জেনেভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত


২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:১২

আপডেট:
১১ মে ২০২৪ ১৬:৪৪

যথাযোগ্য মর্যাদায় জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘মহান শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

দুপুরে জেনেভাস্থ জাতিসংঘ অফিসের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহন করে। সন্ধ্যায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, উন্মুক্ত আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান তাঁর বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি উপস্থিত সবাইকে গত ১০ ই জানুয়ারি তে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন এবং ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বছরব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মিশন কর্তৃক পরিকল্পিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে অবহিত করেন।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, “ভাষা আন্দোলনের মহিমা ও তাৎপর্য আজ শুধু আমাদের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তা আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।” তিনি নতুন প্রজন্মের মাঝে একুশের সুদূরপ্রসারী চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুরোধ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য এক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত আহসান প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পরিশেষে ভাষা শহিদসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং অতিথিদের দেশীয় খাবারে আপ্যায়ন করা হয়। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীগণ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।