ট্রাম্পের হুমকিতে মাস্ক নিষিদ্ধ করলো কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কোপে পড়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং চুক্তি বাতিল করার কথা জানিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের হুমকির মুখে পড়ে অবশেষে পিছু হটলো কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে মাস্ক বা মুখোশ নিষিদ্ধ করতে সম্মত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি মেনে ক্যাম্পাসে পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও রাজি তারা।
কলাম্বিয়া বলেছে, 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাকাডেমিক মিশনের’ উপর নির্ভরশীল এবং এটাই বিতর্ক ও মুক্ত অনুসন্ধানকে সক্ষম করে। কিন্তু অ্যাকাডেমিক ভবন এবং যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেখানে বিক্ষোভ এবং অন্যান্য প্রতিবাদমূলক কার্যকলাপ আমাদের মূল লক্ষ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে সরাসরি বাধা সৃষ্টি করে।’
এই পদক্ষেপটি একাডেমিক বৃত্তের মধ্যে সরকারি প্রভাব এবং একাডেমিক স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তার চিঠিতে, অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ক্যাটরিনা আর্মস্ট্রং বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় অবিলম্বে তার আঞ্চলিক অধ্যয়ন প্রোগ্রামগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করার জন্য একজন সিনিয়র ভাইস প্রভোস্ট নিয়োগ করবে। মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো দিয়ে এই পর্যালোচনা শুরু হবে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে, তারা তাদের দীর্ঘদিনের শৃঙ্খলা-প্রক্রিয়া পুনর্গঠন করবে এবং অ্যাকাডেমিক ভবনের ভিতরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করবে। সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে, কোনও শিক্ষার্থীকে মুখ ঢেকে আসতে দেওয়া হবে না।
কেউ নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুখোশ পরে বা মুখ ঢেকে আসতে পারবেন না। একমাত্র স্বাস্থ্যের কারণে তাদের মাস্ক পরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। ২০২৩ এর ৭ অক্টোবর থেকে কলাম্বিয়ার নিউ ইয়র্ক সিটি ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনি-পন্থী বিক্ষোভ বেড়েছে। এরপরই কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ‘ফেডেরাল ফান্ডিং’ বন্ধ করার কথা জানিয়েছিল ট্রাম্পের প্রশাসন। ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে অনুদান বন্ধ করার কথা জানানো হয়। তার পরেই ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের দাবির কাছে নতি স্বীকার করল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়নের জন্য, একটি ৩৬-সদস্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী ক্যাম্পাস থেকে ব্যক্তিদের অপসারণ বা গ্রেপ্তার করার জন্য নিয়োগ করা হবে।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস