ঢাকা বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৫ই আষাঢ় ১৪৩২


ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ

ট্রাম্প হয়তো বড় ঝুঁকি নিতে চলেছেন


১৮ জুন ২০২৫ ১২:৪৫

আপডেট:
১৮ জুন ২০২৫ ১৬:৪১

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

একজন প্রেসিডেন্ট, যিনি পরিস্থিতির চাপে, গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তারের ভয়ে ও নিজের পূর্বের বক্তব্যকে সত্য প্রমাণ করতে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যার কোনো নিশ্চিত পরিণতি নেই।

ওয়াশিংটনে জল্পনা ক্রমেই বাড়ছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগিরই ইসরায়েলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে একটি চূড়ান্ত হামলা চালাতে পারেন, যার জন্য প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা বাংকার-বাস্টিং অস্ত্র।

বর্তমানে ট্রাম্পের বক্তব্যে বড় পরিবর্তন এসেছে। তিনি এখন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ব্যর্থতা মেনে নিয়ে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের পথে হাঁটার চিন্তা করছেন।

তবে ট্রাম্প সম্পর্কে বরাবরের মতো প্রশ্ন থেকেই যায়—তার কঠোর হুমকি কি আসলেই কার্যকর হতে চলেছে, নাকি কেবল ইরানকে আবার আলোচনায় টানার কৌশল?

ট্রাম্প যদি এই পদক্ষেপে যান, তবে তিনি নিজের রাজনৈতিক দর্শনেরও বিরোধিতা করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্টদের রেজিম চেঞ্জ নীতির কঠোর সমালোচক ছিলেন ট্রাম্প। সেই মনোভাবই তাকে রাজনীতিতে টেনে আনে। কিন্তু যদি তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেন, তবে আমেরিকা ফার্স্ট নীতির এক মুখপাত্র হয়ে তিনি সেই হস্তক্ষেপমূলক রাজনীতিতেই পা রাখবেন, যেটি তিনি ঘৃণা করতেন।

ট্রাম্প সবসময় বলে এসেছেন ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না, কারণ দেশটি ইসরায়েল ধ্বংসের হুমকি দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

এই অবস্থায় ট্রাম্প এখন নিজের নীতির বিপরীতে দাঁড়িয়ে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যা কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বকেই এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

সূত্র: সিএনএন