যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি খাদ্য সহায়তা বন্ধ

আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ ১১টি দরিদ্র ও সংঘাতপীড়িত দেশে জরুরি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ ১১টি দরিদ্র ও সংঘাতপীড়িত দেশে জীবন রক্ষাকারী জরুরি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তকে 'মৃত্যুদণ্ড' এর সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, এসব দেশে এই সহায়তাই ছিল লাখো মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রকে এই অর্থছাঁটাই প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।
দুজন মার্কিন ও একজন জাতিসংঘের কর্মকর্তার মন্তব্য এবং এপির হাতে আসা নথিপত্র থেকে জানা গেছে, হঠাৎ করে এই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট পরিচালিত সর্বশেষ কিছু মানবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পুর্রবতন টুইটার) করা এক পোস্টে ডব্লিউএফপি বলেছে, 'এ সিদ্ধান্ত চরম ক্ষুধা ও অনাহারে থাকা লাখো মানুষের জন্য কার্যত মৃত্যুদণ্ডের শামিল।'
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, যেন জীবনরক্ষাকারী সহায়তা কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্র আগের মতোই অর্থায়ন অব্যাহত রাখে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দাতাদের পূর্ববর্তী সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, মার্কিন বৈদেশিক সহায়তার ক্ষেত্রে জরুরি খাদ্য ও অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী সহায়তা কার্যক্রমগুলোতে আর কাটছাঁট করবে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে সোমবার পর্যন্ত এ বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির শীর্ষ লেফটেন্যান্ট জেরেমি লিউইনের নির্দেশে 'যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সুবিধার জন্য' এ প্রকল্পগুলো বাতিল করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে অর্থায়ন বন্ধের নোটিশে। ওই নোটিশের অনুলিপি দেখেছে সংবাদমাধ্যম এপি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইউএসএআইডির প্রোগ্রামগুলো বাদ দেওয়ার তত্ত্বাবধানের জন্যও নিযুক্ত ছিলেন এই জেরেমি লিউন।