ঢাকা মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সব আলামত মিলছে ধর্ষক মজনুর সঙ্গে: ডিবি


১৫ জানুয়ারী ২০২০ ১২:৩২

আপডেট:
১৫ জানুয়ারী ২০২০ ১২:৩৬

সিরিয়াল রেপিস্ট মজনু

 সিরিয়াল রেপিস্ট মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় সংগৃহীত সব আলামতের সঙ্গে তা হুবহু মিলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সংস্থাটি বলছে, এরই মধ্যে সব আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডিবির কাছে প্রতিবেদন জমা হয়েছে। মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদেও অনেক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, দুই পক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মিলে গেছে।

মশিউর বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হাসপাতালে তার কাছ থেকে নেওয়া তথ্যের সঙ্গে মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের হুবহু মিল রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডি ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। সেগুলো ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে ধর্ষক মজনুর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদনের মিল রয়েছে।

ডিবি’র এই উপকমিশনার বলেন, এখন কেবল ওই তরুণীর ভ্যাজাইনাল সোয়াবের সঙ্গে মজনুর ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনের ম্যাচিং বাকি। এছাড়া বাকি সব পরীক্ষার প্রতিবেদন মিলেছে। তাতে এটি প্রতীয়মান হয়, মজনুই ওই ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে।

ডিসি মশিউর আরও বলেন, রিমান্ড শেষে মজনুকে আদালতে পাঠানো হবে। আদালতে মজনু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবে বলে সম্মত হয়েছে। তার জবানবন্দি পাওয়া গেলে এবং ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে এলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চার্জশিট দেওয়া হবে।

এদিকে, ৮ জানুয়ারি গ্রেফতারের পরদিন ৯ জানুয়ারি মজনুকে আদালতে হাজির করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি মজনুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেদিন থেকেই ডিবির হেফাজতে মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, রিমান্ডেও ডিবির কাছে ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মজনু। ঢাবি শিক্ষার্থী ছাড়াও মজনু গত ১০ বছর ধরে একাধিক প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক নারীকে ধর্ষণ করার কথাও অকপটে স্বীকার করেছে। মজনু একাই যে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছে, তার সঙ্গে আর কেউ ছিল না, সে কথাও জানিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে।

গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাবির এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ডে নামেন। সেখান থেকে তার গন্তব্যে যাওয়ার পথটি নির্জন ছিল। পথে তাকে অনুসরণ করে মজনু। একপর্যায়ে তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। শিক্ষার্থীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার চারদিনের দিনের মাথায় গত ৮ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর শেওড়া রেলক্রসিং থেকে মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

ধর্ষক মজনুকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, মজনু একজন মাদকাসক্ত। সে বিভিন্ন রেলস্টেশনের পরিত্যাক্ত বগিতে বাস করত। বিভিন্ন সময় সে চুরি ও ছিনতাই করত। সুযোগ বুঝে অসহায় নারীদের ধর্ষণ করত। সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলেও জানায় র‌্যাব।