ঢাকা শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২


৪ আসামি কারাগারে

আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত ২ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ


৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৪৭

আপডেট:
২ মে ২০২৫ ২০:১৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত ২ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ৪ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আগামী ১৫ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে এ মামলায় সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

পরে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে, তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ হত্যা মামলায় আটক চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে তদন্ত সংস্থাকে।

এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চার আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

গত ২ মার্চ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় চারজনকে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে প্রতিবাদমুখর নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে। পরে সহপাঠীরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। তাকে পুলিশের গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন।