নতুন করে গ্রেপ্তার আমু-ইনু-মেনন

আন্দোলনের সময় ঢাকার ধানমন্ডিতে এক যুবককে হত্যার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে দুই দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেরা মাহবুবের আদালত এ আদেশ দেয়। একই আদালত এদিন যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন মামলায় সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, কামরুল ইসলামসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে। গ্রেপ্তার দেখানো অন্য আসামিরা হলো সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি রজনী আক্তার টুসী।
সালমান এফ রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার দুটি হত্যাচেষ্টা ও একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা তাদেরকে আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। ছাত্র-জনতার ওই আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
আন্দোলনে ধানমান্ডিতে মো. রিয়াজ (২৩) নামে ওই যুবককে হত্যার মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, নুরু মিয়া এবং সোহানুর রহমান আজাদকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার। শুনানিতে তাদের হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
এদিন আমির হোসেন আমুকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়, ইনু ও মেননকে একটি হত্যাচেষ্টা ও দুটি হত্যা মামলায়, পলককে একটি হত্যাচেষ্টা ও একটি হত্যা মামলায়, কামরুল ইসলাম ও আতিকুল ইসলামকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়, মনিরুল ইসলাম মনুকে দুটি হত্যা মামলায়, জাহাঙ্গীর আলম ও টুসীকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সবকটি মামলা যাত্রাবাড়ী থানার। রিয়াজ হত্যা মামলায় বলা হয়, গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডির সাইন্স ল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন মো. রিয়াজ। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৭ আগস্ট বিকালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের মা শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলাটি করেন।