ঢাকা বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩২


কেরাণীগঞ্জে হত্যার পর ১০ টুকরো, দেবর-ভাবির মৃত্যুদণ্ড


২৯ মে ২০২৫ ১৩:৩৪

আপডেট:
১৮ জুন ২০২৫ ০০:০৭

মফিজুর রহমান (ইনসেটে)

ঢাকার কেরাণীগঞ্জে কবিরাজ মফিজুর রহমানকে হত্যার পর তার ১০ টুকরো লাশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলার দায়ে এক নারী ও তার দেবরকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নী। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাকসুদা আক্তার লাকী ও তার দেবর সালাউদ্দিন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডিতরা জামিনে গিয়ে ২০২৩ সাল থেকে পলাতক রয়েছেন। পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

কেরাণীগঞ্জের বেউতা গণকবরের সামনের ডোবা থেকে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি হাত, পা ও মাথাবিহীন খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করেন এসআই এস এম মেহেদী হাসান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, “মামলার ভিকটিম একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সার, কীটনাশকের দোকানও ছিল। পাশাপাশি তিনি কবিরাজি করতেন। আসামি লাকীর স্বামী বিদেশে থাকেন। তাদের একটা ছেলে সন্তান রয়েছে। অধিক সন্তানের আশায় তিনি ভিকটিমের কাছে যান। তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামিরা তাকে খুনের পরিকল্পনা করে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভিকটিমকে লাকীর বাসায় দাওয়াত করে। মফিজুর রহমান তার বাসায় যান। গরুর মাংস, চায়ের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে অজ্ঞান করা হয়। পরে তার দেহকে ১০ টুকরা করে এখানে-সেখানে ফেলা হয়।”

আইনজীবী রবিউল বলেন, “মফিজুর রহমান নিখোঁজের ঘটনায় তার ভাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশের তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের (দণ্ডিতদের) নাম আসে। তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে। মফিজুরের দেহের টুকরোগুলো উদ্ধার করা হয়।”

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকার দক্ষিণ গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক নাজমুল হাসান। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এরপর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হলো।