ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


কাদিয়ানী দমনে আন্দোলনের হুমকি আল্লামা শফীর


৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২৩:১১

আপডেট:
২০ মে ২০২৪ ০০:৫১

কাদিয়ানীদের দমনে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

কাদিয়ানীদের দমনে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ হুমকি দেন।

আহমদ শফী বলেন, ‘কাদিয়ানীরা আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামে চলতি মাসে পঞ্চগড়ে ইজতেমা করার যে দুঃসাহস দেখিয়েছে, তা অচিরেই বন্ধ করতে হবে। না হলে খতমে নব্যুয়ত আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে হেফাজতে ইসলাম কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের এই অপতৎপরতা বন্ধ করবে।’

তিনি দাবি করেন, ‘আহমদীয়াদের এ নগ্ন আস্ফালন বন্ধ করাসহ কাদিয়ানীদের পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশেও অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।’

খতমে নব্যুয়ত অস্বীকারকারীদের ব্রিটিশের পা চাটা গোলাম এবং মুসলিম উম্মাহর শত্রু আখ্যায়িত করে হেফাজত আমির বলেন, ‘সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)- এর মাধ্যমে নব্যুয়তের ধারাবাহিকতা সমাপ্ত হয়েছে। অথচ এটিকে অস্বীকার করেছেন গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। ব্রিটিশদের দালালি এবং মুসলমানদের ধোকা দিয়ে বোকা বানাতে তিনি কথিত নব্যুয়ত দাবি করেছিলেন। পুরো ভারত সাম্রাজ্যকে যেসব ব্রিটিশ বেনিয়ারা দীর্ঘ ১৯০ বছর গ্রাস করেছিলেন, তাদের তল্পিবাহক হয়ে গোলাম আহমদ ভণ্ড নব্যুয়তের দাবিদার সেজে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত হয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত নাম ধারণ করে সরলমনা মুসলমানদের ধোকা দিয়ে ঈমানহারা করে চলেছে এই কাদিয়ানীরা। তাদের এই জঘন্য ষড়যন্ত্র শিগগিরই বন্ধ করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

আল্লামা শফী বলেন, ‘কাদিয়ানী ইজমের উৎস পাকিস্তানে। ১৯৭৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারিদের ইসলামের গণ্ডিবহির্ভূত অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও আমরা তাদের অমুসলিম ঘোষণা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে হিন্দুরা হিন্দু, খ্রিস্টানরা খ্রিস্টান, বৌদ্ধরা বৌদ্ধ নামে বসবাস করছেন। কিন্তু, কাদিয়ানীরাই একমাত্র অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আহমদীয়া মুসলিম জামাত নাম দিয়ে নিজেদের মুসলমান দাবি করছেন এবং বিশ্বনবীর খতমে নব্যুয়তকে পদদলিত করে যাচ্ছেন।’