যেকারণে শাওনের কাছে হাফিজের জামানত বাজেয়াপ্ত !

এক সময়ের ভাঙনকবলিত দুর্গম জনপদ ভোলা জেলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন (ভোলা-৩ আসন) এখন সারা বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নবঞ্চিত এই জনপদে গত সাড়ে আট বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে আরও হাজার কোটি টাকার কাজ। অত্যাধুনিক উপজেলা কমপ্লেক্স ও থানা ভবন, সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক, লাঙ্গলখালী ব্রিজ, নদীভাঙন রোধে ১১শ কোটি টাকা বরাদ্দসহ যোগাযোগ ও শিক্ষাখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এলাকাটিতে।
এই নদীবেষ্টিত জনপদের মানুষ আধুনিক শহুরে সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে যার হাত ধরে, তিনি হলেন তিন মেয়াদে এই আসনের নির্বাচিত সাংসদ আলহাজ নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করায় লালমোহন ও তজুমদ্দিনের ঘরে-ঘরে আলহাজ নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপির সমর্থন বেড়েছে। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাকর্মী মনে করছেন, বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ২২ বছর মন্ত্রী এমপি থেকেও লালমোহন ও তজুমদ্দিনে উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন করতে পারেননি, যেটা মাত্র সাড়ে ৮ বছরে করেছেন এমপি শাওন। তাই বর্তমানে মেজর হাফিজ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন।
‘দ্বীপবন্ধু’ ও ‘উন্নয়নের বরপুত্র’ উপাধি পাওয়া এই সংসদ সদস্য বলেন, লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষের জন্য আমার এই উন্নয়নের দুরন্ত যাত্রা অব্যাহত থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি এই জনপদের মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আগামীতে লালমোহন ও তজুমদ্দিনের মানুষ সবসময় দরজা খুলে ঘুমাতে পারবে। মেজর হাফিজ এই এলাকার মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে ভ্রাতৃত্ববোধ নষ্ট করেছেন, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। দলমত নির্বিশেষে লালমোহনে গড়ে তোলা হবে শান্তির নীড়। শান্তির নীড় গড়তে চান শাওন
শান্তির নীড় গড়তে চান শাওন
‘লালমোহন ও তজুমদ্দিনের মানুষের জন্য শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবো। এখানে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক, ইভটিজিংসহ সকল ধরনের অপরাধ চিরতরে বন্ধ করা হবে। সন্ত্রাসের জনপদকে সহমর্মিতার জনপদ পরিণত করা হবে’-বলেন নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
‘বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই’ উল্লেখ করে যুবলীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বিএনপি জোট ক্ষমতায় এসে দেশে লুটপাট করেছে। তাই তাদের এদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচনে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থী মেজর হাফিজকে হারিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তরুণ এই রাজনীতিক। সেই থেকেই নির্বাচনি এলাকায় মানুষের ভাগ্যদূত হিসেবে আবির্ভূত হন যুব রাজনীতির এই স্বপ্নপুরুষ।
জনবান্ধব-কর্মীবান্ধব জননন্দিত এই জননেতা দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন ২০১৪ সালে। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই লালমোহন ও তজুমদ্দিনে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও ইভটিজিং বন্ধ ঘোষণা করেন।
নদী ভাঙনরোধে প্রায় ১১শ কোটি টাকা বরাদ্দ আনেন এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এছাড়া লালমোহনে দৃষ্টিনন্দন সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক নির্মাণ করে আলোচনায় আসেন তিনি। লালমোহন ও তজুমদ্দিনে রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করেন। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসা রেখেছেন এমপি শাওনের ওপরে। প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন এমপি শাওন, তাঁর কাছে একাদশ নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মেজর হাফিজ।
মাঠের তথ্য বলছে, ব্যাপক উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে যাওয়ায় ভোলা-৩ আসনে রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন এমপি শাওন। প্রতিদিনই তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন গ্রাম থেকে গ্রাম, বাড়ি থেকে বাড়ি। এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধানে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, বিএনপি প্রার্থী মেজর হাফিজ ২২ বছর উন্নয়ন বঞ্চিত রেখেছেন লালমোহন-তজুমদ্দিনবাসীকে। তিনি উন্নয়ন না করে সন্ত্রাস উপহার দিয়েছেন। বিভিন্ন বাহিনী তৈরি করে প্রতিটি নির্বাচনে লাশের রাজনীতি করতেন। অনেক লাশ ফেলেছেন মেজর হাফিজ। এলাকায় নেতাকর্মী ও আত্মীয়-স্বজন দিয়ে লুট-পাট করিয়েছে। এখন ভয়ে এলাকায় আসতে পারে না। জনগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিগত ১০ বছরে আমরা লালমোহন-তজুমদ্দিনে ব্যাপক উন্নয়ন করে দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছি। লালমোহন ও তজুমদ্দিনে ৯০ ভাগ মানুষ এখন আওয়ামী লীগ করে।
লালমোহন-তজুমদ্দিনের প্রধানতম সমস্যাগুলোর মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসরতা ছিল অন্যতম। ২০১০ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিষয়টি সর্বাগ্রে চোখে পড়ে আধুনিকমনস্ক শিক্ষানুরাগী নূরন্নবী চৌধুরী শাওনের। শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার কারণগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত উদ্যোগ নেন তিনি। মেঠোপথ ঘুরে-ঘুরে তিনি প্রথমেই স্পষ্ট হন প্রয়োজনের তুলনায় দুই উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিতান্তই নগণ্যের বিষয়টি। এজন্য নতুন-নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি পুরনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষকসংকট দূরীকরণ এবং অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বৃত্তির ব্যবস্থা করেন তিনি।
নূরন্নবী চৌধুরী শাওন লালমোহনে ২টি নতুন কলেজ, তজুমদ্দিনে ১টি নতুন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া লালমোহনে ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা, ৮টি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেন। উন্নয়ন করেন ১০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের। লালমোহন সরকারি শাহবাজপুর কলেজে অনার্স কোর্স চালু হয় নূরন্নবী চৌধুরী শাওনের উদ্যোগে। প্রত্যন্ত গ্রাম ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে গ্রাম পর্যায়ে ৩টি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র, ৩টি দাখিল কেন্দ্র, ৬টি জেএসসি কেন্দ্র ও ২টি জেডিসি কেন্দ্র ও ৬টি পিএসসি কেন্দ্র স্থাপন হয় নূরন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রচেষ্টায়।
একইসঙ্গে লালমোহনে ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ এমপিওভুক্ত হয় একইসময়ে। গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে ‘নূরন্নবী চৌধুরী শাওন মেধাবৃত্তি’। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নের এই মেধাবৃত্তির সুবিধা পেয়ে আসছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। শান্তির নীড় গড়তে চান শাওন
নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন তাঁর বাবার নামে লালমোহনে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আলহাজ নূরুল ইসলাম চৌধুরী মহাবিদ্যালয়’, নিজের নামে ‘আলহাজ নূরন্নবী চৌধুরী মহাবিদ্যালয়’ এবং মায়ের নামে ‘হোসনে আরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়’। এছাড়া স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ফারজানা চৌধুরী রত্না’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তজুমদ্দিনে মায়ের নামে ‘হোসনে আরা চৌধুরী মহিলা কলেজ’ এবং লালমোহনে বাবার নামে ‘মারকাজুল উলুম আলহাজ নুরুল ইসলাম চৌধুরী কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এছাড়া লালমোহন ও তজুমদ্দিনে দুটি ‘আলহাজ নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ফ্রি আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ও প্রতিষ্ঠা করেন জনবান্ধব এই নেতা।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিনে ভেঙে পড়া যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নেও মনোনিবেশ করেন নূরন্নবী চৌধুরী শাওন। ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের লালমোহন পৌরশহরে লাঙ্গলখালী ব্রিজটি ছিল মানুষের দুই যুগের প্রাণের দাবি। বছরের পর বছর বেইলি ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতো সব গণপরিবহন।
ব্রিজটির কয়েকশ গজ দূরত্বের মধ্যেই এলাকার সাবেক এমপি ও সাবেকমন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিনের বাসভবন। কিন্তু বছরের পর বছর প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভঙ্গ করেছেন তিনি। দুই যুগেও ব্রিজটি নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ করতে পারেননি হাফিজ। তবে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি না থাকলেও মানুষের দুই যুগের প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে লাঙ্গলখালী ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগী হন নূরন্নবী চৌধুরী শাওন। অল্প সময়ের মধ্যে সফলও হন তিনি। অবশেষে নির্মিত হয়েছে দীর্ঘপ্রতীক্ষিত সুদীর্ঘ ব্রিজটি। দুর্ভোগ থেকে বেঁচেছেন এলাকার মানুষ। একই সময়ের মধ্যে লালমোহন-মঙ্গলশিকদার সড়কের গুরুত্বপূর্ণ হরিগঞ্জ বাজারের বেইলি ব্রিজের স্থানেও নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হয় এমপি শাওনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়।
নূরন্নবী চৌধুরী শাওন লালমোহনে ৭টি বড় ব্রিজসহ মোট ২২০টি ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ করেছেন বিগত সাড়ে ৮ বছরে। এছাড়া লালমোহনে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন উপজেলা কমপ্লেক্স। ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে লালমোহনে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে ১৫২ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ হয়েছে। দুর্যোগকালে আশ্রয়ের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ কেন্দ্র। বিভিন্ন চরে মাটির কিল্লাও নির্মাণ হয়েছে প্রয়োজনীয়। নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দুই হাজারেরও বেশি নতুন টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।
শান্তির নীড় গড়তে চান শাওন
শান্তির নীড় গড়তে চান শাওন
মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নূরন্নবী চৌধুরী শাওন লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন। লালমোহন সদর হাসপাতালকে ৩১ থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে অপারেশন থিয়েটার। প্রত্যন্ত গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা দিতে ১০টি কমিউনিটি ক্লিনিকও স্থাপন করা হয়েছে এই সময়ের মধ্যে।
বিগত আট বছরে গ্রামের পর গ্রাম নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আলোকিত করেন লালমোহন-তজুমদ্দিনের নিভৃতপল্লি। আট বছরে ৯ হাজারেরও বেশি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে দুই উপজেলায়। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ৩২৫ কিলোমিটার এলাকায় প্রয়োজনীয় খাম্বা ও তার লাগানো হয়েছে।
শুধু গ্রাম নয়, তাঁর হাতের ছোঁয়ায় বদলে গেছে প্রথমশ্রেণির পৌরসভা লালমোহন পৌরশহরও। নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শহরটিকে আধুনিকরূপ দিয়েছেন এমপি শাওন। শহরের সরকারি শাহবাজপুর কলেজ মাঠে স্থাপন করেছেন আধুনিক ডিজিটাল পার্ক। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্যপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন এ পার্কের। কলেজ মাঠে স্থাপন করা হয়েছে সাড়ে ৩১ ফিট দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফিট প্রস্থের ডিজিটাল এলইডি টিভি। লালমোহনবাসী সরাসরি যে কোন অনুষ্ঠান, সরাসরি সম্প্রচারিত খেলাধুলা এবং স্যাটেলাইট সকল টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ পাচ্ছেন এ টিভিতে। ডিজিটাল পার্কে ফ্রি ওয়াইফাই জোন করা হয়েছে।
নূরন্নবী চৌধুরী শাওনের নির্দেশে বিগত সাড়ে আট বছরে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় সুসমভাবে বণ্টন হয়েছে ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা ও জেলেদের উপকরণ। দুই হাজার পরিবারকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে একটি বাড়ি একটি খামারের আওতায়। ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ একর কৃষি খাসজমি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এক হাজার শতাধিক মসজিদ মাদ্রাসায় অনুদান দিয়েছেন নূরন্নবী চৌধুরী শাওন।
বিগত আট বছরে নূরন্নবী চৌধুরী শাওন আমূল পাল্টে দিয়েছেন তজুমদ্দিনের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার। তজুমদ্দিনের অবহেলিত চর জহিরউদ্দিনের উন্নয়নে বিশেষ-বিশেষ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ২ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে থানা কমপ্লেক্স ও প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কোস্ট গার্ড ভবন নির্মাণ করা হয় তজুমদ্দিনে। শান্তির নীড় গড়তে চান শাওন
নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, ‘লালমোহন-তজুমদ্দিনের এই উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত থাকবে। সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রতিযোগিতা ভিত্তিক বৃত্তি প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে আইসিটি ফ্রি গেমস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং কারিগরি স্কুল স্থাপনসহ ম্যাকানিক্যাল, জরিপ, পল্লি চিকিৎসক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বেকারত্ব দূর করা হবে।
গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় ডাক্তার নার্স অবস্থান করানোসহ ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া এবং উন্নতমানের ডায়াগনস্টিক স্থাপন করে ঢাকার মানে চিকিৎসা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এছাড়া সরকারি সহযোগিতা ছাড়াও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কৃষকদের সার, ওষুধ, বীজ প্রদান করা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করন, প্রকৃত ভূমিহীন ও কৃষিজীবীদের মাঝে খাস জমি বণ্টন, অবরোধকালীন সময়ে জেলেদের ত্রাণ ও ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধিকরণসহ জেলেদের দাদনদার ও জলদস্যু থেকে মুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানান নতুন সংবাদ’কে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরিকরণ, এলাকায় কুটির শিল্প, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প স্থাপন, স্থায়ী ও স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টির পরিকল্পনার কথা জানান। মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করেন উন্নয়নবান্ধব এই জনপ্রতিনিধি।নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, আমি দলমত নির্বিশেষে সকল বিভেদ বিভাজন পরিহার করে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে সবাইকে নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে লালমোহন ও তজুমদ্দিনকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো