ঢাকা রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১


বিজিবি-জনতা সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩, আহত ১৪


১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪৭

আপডেট:
১২ মে ২০২৪ ১৭:৩০

বিক্রির জন্য হাটে নেওয়ার পথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি কর্তৃক গরু আটকের জেরে সংঘর্ষে তিন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন।

বিক্রির জন্য হাটে নেওয়ার পথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি কর্তৃক গরু আটকের জেরে সংঘর্ষে তিন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহতরা হলেন- নবাব (৩০), সাদেক (৪০) ও জয়নুল (১৫)। নবাব হরিপুর উপজেলার রুহিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও সাদেক একই গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, পার্শ্ববর্তী রাণীশংকৈল উপজেলার যাদুরাণীহাটে স্থানীয়রা গরু বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিল। আজ ছিল হাটের দিন।

হাটে বিক্রির উদ্দেশে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির বেতনা সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা কয়েকটি গরু আটকায় এবং এই গরু চোরাই ভারতীয় গরু বলে চ্যালেঞ্জ করে।

এনিয়ে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে বিজিবি গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রায় আধাঘণ্টা যাবৎ বিজিবি শতাধিক রাউন্ড এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে তিনজন নিহত ও ১৪ জন আহত হন।

গুরুতর আহতদের রংপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আহতদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিজিবি ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহা. মাসুদ বলেন, বিজিবি সদস্যরা কয়েকটি অবৈধ গরু আটক করে নিয়ে আসার সময় বহরমপুর এলাকায় চোরাকারবারীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘবদ্ধভাবে বিজিবির ওপর হামলা চালায়। বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন।

চোরাকারবারীদের হামলায় দুজন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

কত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বলেন, গুলির হিসাব এখনো শেষ হয়নি।

জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম এবং হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফ বেগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।