ঢাকা বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৫ই আষাঢ় ১৪৩২


‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ নিয়ে বড় অগ্রগতির আশা আলী রিয়াজের


১৮ জুন ২০২৫ ১৪:০৯

আপডেট:
১৮ জুন ২০২৫ ১৭:৪৮

ছবি : সংগৃহীত

সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ নিয়ে ‘বড় ধরনের অগ্রগতি হবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন করেছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপাস হলে কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের তৃতীয় দিনের আলোচনা শুরু হয়। সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেছেন তিনি।

আলী রিয়াজ বলেন, “আজকে আমরা আলোচনার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছি যে, প্রস্তাবিত জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল যেটি সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বাইরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জেলা সমন্বয়ন কাউন্সিল। এগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করব। আমরা আশা করছি যে, এসব আলোচনায় আমরা বড়রকমের অগ্রগতি অর্জন করতে পারব।”

আলী রীয়াজ বলেছেন, “আগের আলোচনায় এনসিসি বা জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের ব্যাপারে এক ধরনের মতামত এসেছে এগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কিছু বিকল্প প্রস্তাব বা আলোচনার মধ্যে প্রস্তাব তৈরি হয়েছে। সেগুলোও আপনাদেরকে (রাজনৈতিক দলগুলো) জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি যে, এ বিষয়ে আমরা বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করতে পারবো। আমরা সবচেয়ে খুশি হবো যে, এই বিষয়গুলোতে আমরা যদি সিদ্ধান্তে আসতে পারি আজকে।”

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, “যেটা আমরাও বলেছি, তাড়াহুড়ার চেয়ে জরুরি দরকার যেটা, সেটা হচ্ছে সমস্ত বিষয়ে যেন আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যেটাকে আমরা বলি যে, সকলের আলোচনার মধ্য দিয়ে যেন আমরা একটা জায়গায় আসতে পারি, সেই চেষ্টাটা আমাদের থাকবে।”

হাতে সময়ের স্বপ্লতার কারণে জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরিতে তাগিদ দিয়েছেন আলী রিয়াজ। তাতে সব দলের সহযোগিতা তিনি আশা করছেন।

এ দিনের বৈঠক রয়েছেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

‘বয়কটের’ একদিন পর কমিশনের সংলাপে যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে এ আলোচনায়।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার জানিয়েছেন, বুধবার জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল নিয়ে আলোচনা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে।

এছাড়া সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, নিম্নকক্ষে নারী আসন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সুপারিশ নিয়ে আগের আলোচনার বিষয়টিও সূচিতে রাখা হয়েছে।