ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


ফেসবুককে ‘শিকল’ পরানোর প্রস্তাব


১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:০২

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ০১:২৯

ফেসবুককে ‘শিকল’ পরানোর প্রস্তাব

ভুয়া সংবাদ এবং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষায় ফেসবুক ‘ব্যর্থ হওয়ায়’ প্রতিষ্ঠানটিকে বাধ্যতামূলক কিছু ‘নৈতিক নিয়মে’র ভেতর আনার প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের এমপিরা। তারা যেসব প্রস্তাব দিয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন হলে ফেসবুককে রীতিমতো ‘শিকল’ পরা অবস্থায় চলে যেতে হবে।

দেশটির পার্লামেন্ট ফেসবুকের বিরুদ্ধে ১৮ মাস ধরে তদন্ত শেষে সোমবার এমন মন্তব্য করে।

এমপিরা ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে ‘ব্যর্থ নেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘মানুষের অধিকার একটি বিধানে আসা উচিত। জাকারবার্গ তার প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা রক্ষা করতে ব্যর্থ।’

ফেসবুক নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা শুরু হয় ২০১৬ সাল থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে গ্রাহকের তথ্য বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি। সেই তথ্য দিয়ে তারা ট্রাম্পকে নির্বাচনী প্রচারে সহায়তা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হলে জাকারবার্গ বিপাকে পড়েন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমা পর্যন্ত চাইতে হয়। শুধু তাই নয়, গ্রাহকের তথ্যের অপব্যবহার করায় ব্রিটিশ এমপিদের কাছে ব্যাখ্যাও দিতে হয় তাকে।

পার্লামেন্টের নতুন সিদ্ধান্তকে ফেসবুক স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছে, অর্থপূর্ণ নিয়মের ভেতর আসতে ফেসবুক প্রস্তুত।

ফেসবুকের পাশাপাশি তাদের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের জন্যও একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন এমপিরা।

‘বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিকর কনটেন্ট থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করতে ব্যর্থ। একই সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যেরও কোনো সম্মান দেখানো হচ্ছে না,’ উল্লেখ করে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক নিয়ম থাকবে। এগুলো দেখভাল করবে স্বাধীন একটি নিয়ন্ত্রক কমিটি। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভঙ্গ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে ওই কমিটি।’
ফেসবুক বিবিসিকে বলেছে, ‘আমরা পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। ১৮ মাস ধরে আমরা প্রায় ৭০০ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদের সাহায্য করেছি। একই সঙ্গে আমাদের চারজন সিনিয়র কর্মকর্তা তাদের কাছে বিভিন্ন নথি উপস্থাপন করেছেন।’

‘আমরা অর্থপূর্ণ নিয়মকে সমর্থন করি। আমরা বসে নেই। ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে, যাতে ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন সঠিক নিয়মে দেয়া হয়।’