বিএনপি-জামাতের অপপ্রচার ও গুজবের বিরুদ্ধে অনলাইনে কাজ করছে কে-ফোর্স!

বিএনপি-জামাতের অপপ্রচার ও গুজবের বিরুদ্ধে অনলাইনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি কট্টরপন্থি আওয়ামী লীগ অনুসারী শিক্ষিত যুবসম্প্রদায়ের সমন্বয়ে গঠিত কে-ফোর্স সংগঠন।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের নিকট রাজনীতি আর জনপ্রিয়তায় ধরাশায়ী হয়ে স্বাধীনতার পর থেকেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে ৷ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির অপচেষ্টা বন্ধ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঈর্ষান্বিত উন্নয়ন পেলেও মানতে নারাজ স্বাধীনতাবিরোধীরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ অদম্য গতিতে এগিয়ে চললেও বাধা হয়ে দাড়ায় দেশবিরোধী গুজব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে দেশবিরোধী নানা গুজব ছড়াচ্ছে একটি চক্র। মাঝে মধ্যে ওই চক্রের গুজব সন্ত্রাসের কারণে দেশজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
এসব গুজবরোধে কট্টরপন্থি আওয়ামী লীগ অনুসারী শিক্ষিত যুবসম্প্রদায়ের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে কে-ফোর্স।
আরো জানা যায়, কে- ফোর্স মূলত আওয়ামী বিরোধীদের অনলাইন অপপ্রচার রুখতে কট্টরপন্থি আওয়ামী সমর্থকদের একটি অনলাইন গ্রুপ। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ প্রতি সম্মান জানিয়েছেন গ্রুপটি কে-ফোর্স নামে যাত্রা শুরু করে ছয় বছর আগে। উদ্যোক্তাদের একজন জানান, ২০১২ সালে যখন বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করল, তখন বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচারের জবাব দিতে অনলাইনে সক্রিয় থাকা কট্টরপন্থি আওয়ামী সমর্থকদের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং সবাই সম্মিলিতভাবে জাতির জনকের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগ সরকারে সব সাফল্যকে জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরতে এবং স্বাধীনতাবিরোধী জোট বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সকল প্রকার অপপ্রচারের জবাব দিতে আমরা কাজ করব। আরেক সদস্য জানান ফেসবুক মেসেঞ্জারে কে-ফোর্সের ১৫ টির অধিক গ্রুপ রয়েছে। ওই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা পাঁচ হাজারেও অধিক। গঠন করা হয়েছে একটি নিয়ন্ত্রক সেল। বাংলাদেশবিরোধী কোনো গুজব পেলেই যে কোনো সদস্য কন্ট্রোলসেলে অবহিত করে এবং সেল কাউন্টার জবাব প্রস্তুত করে গ্রুপে দেয়। এরপর সেটিকে সবাই ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
কে-ফোর্স, সিপি গ্যাং, মুক্তি ফৌজ, সাইবার ফোর্স ৭১, গেরিলা ৭১, ক্রাক প্লাটুন, দুর্বার , জামাত-শিবির দমন পরিষদ, বিশ্ব আওয়ামী অনলাইন লীগ সমন্বয় করে তৈরী করেছে অনেক শক্ত প্লাটফর্ম। আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা, জামাত-বিএনপিকে রুখে দেওয়া, দেশবিরোধী গুজব প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে শক্তিশালী টিমগুলো।
তথ্য মতে, কে-ফোর্স গঠনের পর থেকেই যেখানেই অপপ্রচার, সেখানেই প্রতিরোধ করতে সক্ষমতা দেখিয়েছে। কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে গুজবের বিরুদ্ধে সংগঠনটি ছিল সোচ্চার। সংগঠনটির সদস্যরা প্রতিনিয়ত সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ইতিহাসের সত্যগুলো তুলে ধরছেন। কে-ফোর্সের চীফ এডমিন নাজিম আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি অনলাইনে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির বেশি সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধ ও সরকারবিরোধী নানা গুজব ছাড়াচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীর সংখ্যায় বেশি হলেও অনলাইনে উপস্থিতি কম। সরকার ও দলের অনেক নেতা অনলাইন বুঝেন না। সে জায়গা পূরণ করতেই আমরা কাজ করছি। ২০১৯ সালে মেন্টর হিসেবে আহমেদ হাসনাইনকে নিযুক্ত করেন। আহমেদ হাসনাইনকে নিয়োগ করার পর গ্রুপের কার্যক্রম আরো গতিশীল হয় বলে জানান চীফ নাজিম আহমেদ। বর্তমানে কে-ফোর্স পেইজে ৩ লক্ষাধিক ফলোয়ার রয়েছে (K – Force)। যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে নতুন প্রজন্মকে সঠিক তথ্য জানাতে অনলাইনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছি।
কে-ফোর্স প্রতিষ্ঠাতা উপদেস্টা এডমিন শিমুল দাস বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা বিভিন্ন বাধা পার করে আজকের এই অবস্থানে এসেছি। আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালানো হয়েছিলো। মেম্বারদের কঠোর মনোবলে আজকের বর্তমান কে-ফোর্স হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা এডমিন ইয়াসির আরাফাত ও আলাউদ্দিন বলেন আমাদের মিশন শেষ হবেনা। সাত বছর যেভাবে চালিয়েছি ওভাবেই সামনে চালিয়ে যাবো।
এছাড়া কে-ফোর্স(K – Force) এর নামে কিছু অসাধু ব্যক্তি ফেসবুক পেইজ আর ভূয়া গ্রুপ খুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানান কে-ফোর্স উপদেস্টা এডমিন দ্বীন ইসলাম। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি। এছাড়া তিনি বলেন এদের মত আরো কিছু অসাধু ব্যক্তি নেত্রী ও নেতাদের নামে পেইজ আইডি খুলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার আহবান জানান।