মেয়র সাঈদ খোকনের জনসভায় মানুষের ঢল

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে নগর পিতা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের জনসভায় মানুষের ঢল নেমেছে বলে জানা যায় ।
আজ ১২ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কামরুল ইসলাম কমিউনিটি সেন্টার কাম মার্কেটের উদ্বোধন উপলক্ষে এজনসভা আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি , ঢাকা দক্ষিন ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার হাসিবুর রহমান মানিকসহ দক্ষিনের সকল কাউন্সিল প্রমুখ।
এদিকে জনসভায় হাজার হাজার লোক নিয়ে সভায় যোগ দেন ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)কাউন্সিলরা।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘কর্তব্যে অবহেলা করিনি। মায়ের মত এ শহরকে ভালোবেসেছি। জীবন দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করেছি। কতটুকু করতে পেরেছি সে ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। আশা করছি আগামী নির্বাচনেও আপনাদের সমর্থন পাবো।’হাসপাতাল মাঠে এক জনসভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি এসময় আরো বলেন, ‘আমার প্রয়াত পিতা সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ নগরবাসীকে দেওয়া উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলেন। তার সেই রক্তের উত্তরাধিকারী হিসেবে নগরবাসীর কল্যাণে আমিও আমার দেয়া প্রতিশ্রুতি আমি রক্ষা করব ইনশাল্লাহ।’
তিনি আরো বলেন, রাজধানী ঢাকা এখন উন্নয়নের স্রোতধারায় বদলে যাওয়া এক নতুন নগরী। কামরাঙীরচরের ৩টি ওয়ার্ডে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামীতেও ঢাকাবাসীর ভোটে নির্বাচিত হলে আরও একটি কামরাঙ্গীরচর উপহার দেওয়া হবে।
সাঈদ খোকন বলেন, এ এলাকায় ড্রেনেজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করার ফলে ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা হলেও এখানে কোনো জলাবদ্ধতা হয় না। অত্যাধুনিক এ কমিউনিটি সেন্টার কাম মার্কেটের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি প্রত্যাশা পূরন হল। এর ফলে এলাকাবাসী স্বল্প ব্যয়ে সহজেই পারিবারিক ও সামাজিক নানা অনুষ্ঠানের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
স্থানীয় ৫৬ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় কামরাঙ্গীরচর এমপি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. আবুল হোসেন সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সোলায়মান, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, হাজী নূরে আলম, হাজী সাইদুল ইসলাম মাতবরসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৫ কাঠা জমির উপর নির্মিত ৫ তলা বিশিষ্ট এ স্থাপনায় ১৬০০ জন অতিথির আসন ব্যবস্থা, কার পার্কিং, ব্যায়ামাগার, কমিশনার কার্যালয়, লাইব্রেরি, লিফটের ব্যবস্থা এবং ৭৬টি দোকানের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।