ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বে আসছেন যারা


১৫ নভেম্বর ২০১৯ ১২:৪৬

আপডেট:
১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০০:১২

আগামীকাল শনিবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে সংগঠনটির সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সংগঠনকে অব্যহতি এবং সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকে সম্মেলনের সকল কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তাই শীর্ষ পদে নতুন দুই মুখ আসছেন তা নিশ্চিত। শীর্ষ পদ অর্জন করতে পদপ্রত্যাশীরা যে যার মত করে নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করছেন। অতীতে দলের জন্য অবদান ও বর্তমানে সাংগঠনিক কাজের দক্ষতা তুলে ধরছেন। এ নিয়ে ব্যস্ততা ও টেনশনের মধ্যে সময় কাটছে পদপ্রত্যাশীদের।

সেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের বিষয়ে সংগঠনটির প্রথম সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন  বলেন, দীর্ঘদিনে ধারাবাহিক রাজনীতির সাথে যারা জড়িত, পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক হিসেবে যারা নিবেদিত, এই ধরণের আর্দশবান, ত্যাগী ও যারা ঐতিহ্যগত ভাবে জাতির পিতার আদর্শে বিশ্বাসী এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাদের মাঝ থেকে কাউন্সিলে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, যাদের বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তারা পদে আসবে না এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে।
২০১২ সালে ১১ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এবার শীর্ষ দুটি পদে আলোচনায় আরো আছেন তারা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতি, মঈন উদ্দীন মঈন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক লীগ বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির চার সাংগঠনিক সম্পাদক- ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা এবং আব্দুল আলিম বেপারী, পানি সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলাল।
খায়রুল হাসান জুয়েল, শেখ সোহেল রানা টিপু, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা এক-এগারোর সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে এই চার সাংগঠনিক সম্পাদক বেশ আলোচনায় রয়েছেন এবার।এর মধ্যে সে সময় জুয়েল প্রায় এক বছর কারাগারে ছিলেন। এবং ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। 
এছাড়া খায়রুল হাসান জুয়েল ক্লিন ইমেজ সৎ দক্ষ সাংগঠনিক এবং তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র বলছে, দুর্নীতির সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাদের নাম আসায় অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন নেতৃত্ব আনার প্রক্রিয়া খুব বিচার বিশ্লেষনের মধ্য দিয়ে যাবে। অতীতে এসব বিষয় বিবেচনায় থাকলেও এবার সেই প্রক্রিয়া হবে খুবই তীক্ষ্ম।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল সকাল ১১ টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনের জন্য আমরা প্রস্তুত। ইতিমধ্যে সম্মেলন স্থলের মঞ্চ এবং প্যান্ডেলসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে ১৯শ’ ৭৫ জন কাউন্সিলর এবং প্রায় ১৮ হাজার ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও অতিথি থাকবেন প্রায় ১৫ হাজার। সম্মেলন বর্ণাঢ্য এবং জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্মেলন সুন্দর করতে ১৩টি উপ কমিটি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর এ আলোচনায় যারা
১১ নভেম্বার ঢাকা দক্ষিণ ও ১২ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকাল কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি মহানগর দুইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ পদের আলোচনায় রয়েছেন-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক ওমর ফারুক।
এর মধ্যে  কামরুল হাসান রিপন একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে এগিয়ে আছেন। তাছাড়া তৎকালিন বিএনপি জামাআত সরকারের আমলে ব্যাপক নির্যাতন ও কারাগারে ছিলেন। মাঠ পর্যায়ে একজন কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে ব্যাপক  জনপ্রিয়তা রয়েছে।

এছাড়া ওমর ফারুক ও বিএনপি জামাআতের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুমনা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ পদের আলোচনা রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া এবং বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল।