ঢাকা রবিবার, ১১ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২


প্রাক-জাহাজিকরণ

ছোলা দেখতে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ


২৩ জানুয়ারী ২০২০ ২২:৩৯

আপডেট:
১১ মে ২০২৫ ১৬:৫২

ছোলা

রমজানের ছোলা জাহাজে ওঠার আগে তার মান দেখতে অস্ট্রেলিয়া সফরে গেলেন তিন কর্মকর্তা। ছোলার মান যাতে ঠিক থাকে আর সময়মতো যাতে ছোলাবাহী জাহাজ বাংলাদেশে পৌঁছে, সে বিষয়ে মিটিং করতে আট দিনের জন্য গতকাল সকাল ঢাকা ছেড়েছেন তারা, ফিরবেন ২৯ জানুয়ারি। রোজার মাসে বাড়তি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিবারই খোলাবাজারে ছোলা বিক্রি করে রাষ্ট্রায়ত্ত বিক্রয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি।

এবারও বিক্রি করবে সংস্থাটি, তার প্রস্তুতি চলছে বেশ আগে থেকেই। টিসিবির কর্মকর্তারা জানান, রমজানের জন্য ২ হাজার ৫০০ টন বাদামি রঙের ছোলা আমদানির জন্য গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে টিসিবি।

২৫ ও ৫০ কেজির প্যাকেটে ছোলাগুলো সরবরাহ করতে হবে। ঋণপত্র (এলসি) খোলার ৪৫ দিনের মধ্যে তা সরবরাহ করার কথা। ছোলা সরবরাহের কাজ পায় অস্ট্রেলিয়ার অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটি ছোলা জাহাজে তোলার আগেই তার মান নিশ্চিত করা ও সময়মতো যাতে আমদানির ছোলা বাংলাদেশে এসে পৌঁছে, সে বিষয়ে অ্যাগ্রোকর্পের সঙ্গে সভা করা ও ছোলা জাহাজে তোলার আগে তার মান দেখবেন সফরে যাওয়া তিন কর্মকর্তা।

তিন কর্মকর্তার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাসান জাহাঙ্গীর। অপর দুই কর্মকর্তা হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোছা. কামরুন্নাহার ও টিসিবির প্রধান কর্মকর্তা (বাণিজ্যিক) মো. শেখাবুর রহমান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির  বলেন, রমজানের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে টিসিবি ছোলা আমদানি করছে।

ওই সব ছোলা জাহাজীকরণের আগে তার মান যাচাই করতে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

সফরসূচি অনুযায়ী ৮ দিনের সফরের বেশির ভাগ সময়ই ব্যয় হবে যাতায়াতে। মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশ ছাড়েন তারা।

গতকাল বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে তাদের অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার কথা।

আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার তারা ছোলার প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন বা প্রাক-জাহাজীকরণ তদন্ত করবেন। শনিবার ব্রিজবেন থেকে বিমানযোগে সিডনি পৌঁছাবেন তারা।

রবিবার সিডনিতে অ্যাগ্রোকর্পের মান নিয়ন্ত্রণ টিমের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সোমবার সিডনি থেকে বিমানযোগে মেলবোর্ন যাওয়ার কথা তাদের। আগামী মঙ্গলবার সময়মতো শিপমেন্ট বা জাহাজে সরবরাহ যাতে নিশ্চিত হয়, সে বিষয়ে অ্যাগ্রোকর্পের সঙ্গে আরেকটি সভা করবে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। পরদিন মেলবোর্ন থেকে রওনা হয়ে রাত ৮টা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের। 

খবরঃ বিজনেস ট্রিবিউন