প্রাথমিকে নারী কোটায় শতকরা ৬০ ভাগ নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রুল জারি
-2020-02-24-18-54-13.jpeg)
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে নারী কোটায় শতকরা ৬০ ভাগ নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
আজ সোমবার বরগুনা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠী জেলার ১২ জন প্রার্থীর দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ইতোপূর্বে স্থগিত হওয়া বরগুনা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠী জেলার ১২ জন আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রুল জারি করেন।
রিট আবেদনকারীপক্ষে শুনানী করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আরিফুর রহমান আরিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ লঙ্ঘন করে ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফল কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হিসেবে বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত জানতে চেয়েছেন প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলে ৬০ শতাংশ নারী কোটা পূরণ করে রিটকারী নারীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেয়া কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না। জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৩ জেলার সংশ্লিষ্ট ১৪ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে ফলাফল প্রকাশিত হয়।
নিয়োগবঞ্চিত হওয়ায় বরগুনা জেলার ৮, পটুয়াখালীর ৩ ও ঝালকাঠীর ১ জন প্রার্থী ৬০ শতাংশ নারী কোটায় নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে ওই রিট দায়ের করেন। রিটকারীদের মধ্যে রয়েছেন- বরগুনার বেতাগী উপজেলার মরিওম, তুলি, লাবনী, মুক্তা, শাহনাজ, শাহনাজ আক্তার, মারিয়া তাবাসসুম, সাথী, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কলি, নীতি বেগম ও রাবেয়া বেগম ও ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আরিফা আক্তার।