ঢাকা সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২


বিজয় দিবস-২০২০ ভার্চ্যুয়াল সিএমএসএমই বিভাগীয় মেন্টরশীপ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত


২২ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৩৭

আপডেট:
১২ মে ২০২৫ ১৬:২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি এন্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ (আইসিই) সেন্টার এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত ‘রিভাইভ’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২১ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ৩০ থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ পর্যন্ত চলে রাজশাহী বিভাগেরে জেলাগুলোর জন্য “বিজয় দিবস-২০২০ ভার্চ্যুয়াল সিএমএসএমই বিভাগীয় মেন্টরশীপ প্রোগ্রাম”। দিনব্যাপী এই আয়োজনে রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলা থেকে সিএমএসএমই ব্যবসায়ীগণ এবং এই খাতের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারগণ অংশগ্রহণ করেন।

সর্বমোট ৮ ঘন্টার এই মেন্টরশীপে সকাল ৯টা ৩০ এর সেশনের বিষয়বস্তু ছিল বাজারজাতকরন, সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা এবং প্রযুক্তি। আইসিই সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ রাশেদুর রহমান সেশনের শুরুতে অংশগ্রহণকারী সকল সিএমএসএমই ব্যবসায়ীগণ এবং অতিথিদের স্বাগত জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই প্রকল্পের ১০০ ঘন্টার ভার্চ্যুয়াল মেন্টরশীপের মাধ্যমে যে আলোচনার শুরু হয়েছে সেটির ধারা অব্যাহত থাকবে এবং আগামীদিনের অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মোঃ ইমরুল জোবায়েদ এবং পার্ট টু এর সিইও জনাব নাজবুল হাসান এতে আলোচক হিসেবে অংশ নেন। মোঃ ইমরুল জোবায়েদ এর মতে, বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় শুধু অফলাইন নয় বরং সিএমএসএমই ব্যবসায়ীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এটি একটা ব্যবসায়কে দীর্ঘ মেয়াদি সফলতা অর্জন করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। উনার সাথে একমত প্রকাশ করে জনাব নাজবুল হাসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে তবে এর প্রতি গুরুত্ব মানে কোনোভাবেই পণ্য বা সেবার গুণগত মানকে নিম্ন করে সফলতার আশা করা যাবে না। গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হলেই তখন অনলাইন উপস্থিতি অতিরিক্ত ভ্যালু এড করতে সক্ষম হবে।

সকাল ১১ টা ৩০ এর লিগ্যাল, গভর্ন্যান্স এবং ডকুমেন্টেশন বিষয়ক সেশনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এর সিরাজগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মোঃ রাকিব উদ্দিন বলেন, প্রতিটা ব্যাংকের রিকোয়ারমেন্ট ভিন্ন ভিন্ন হয়। একজন সিএমএসএমই ব্যবসায়ীকে বুঝতে হবে তার যে উদ্দেশ্য সেটির সাথে কোন ব্যাংক তার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় আর সেভাবেই ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। ব্যাংকের সহায়তা পাওয়ার জন্য ব্যবসায়ের কাগজপত্র যথাযথভাবে সঙ্গরক্ষনের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।

১ ঘন্টা বিরতির পর দুপুর ২টা ৩০ এর সেশনে আলোচ্য বিষয়বস্তু ছিল স্ট্র্যাটেজি, ডাইভার্সিটি এবং মানসিক স্বাস্থ্য। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিসিকের রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর বায়েজীদ বলেন ব্যবসায়ের জন্য সঠিক কৌশল নির্ধারন করা অতীব জরুরি। এর পাশাপাশি কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং ডেমোগ্রাফিক ভিন্নতার সামঞ্জস্য রাখাটা একটা ব্যবসায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

সর্বশেষ বিকেল ৪টা ৩০ এর অর্থায়ন, হিসাবরক্ষন এবং প্রণোদনা প্যাকেজ বিষয়ক সেশনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আরিফুজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক মোঃ সজিব হোসেইন, সিএফএ। উভয় বক্তাই তাদের বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন যে প্রণোদনা প্যাকেজ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং এর বন্টনের সঠিক

কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে যাতে সিএমএসএমই ব্যবসায়ীগণ এর সুফল ভোগ করতে পারে তবেই এর উদ্দেশ্যের সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
সিএমএসএমই ব্যবসায়ীগণ এই প্রোগ্রামে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সাথে সরাসরি আলোচনা করার মাধ্যমে পুরো আয়োজনকে একটি প্রাণবন্ত শিক্ষনীয় সময়ে রুপান্তর করেন।