স্ত্রীকে ভুয়া সাংবাদিক বানিয়ে প্রতারণা, শাস্তি পেলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যদিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে (ডিসি) বিপদে ফেলা ও বিব্রত করার চেষ্টাসহ নানা ধরনের অভিযোগ ছিল তৎকালীন উপসচিব আবু জাফর রাশেদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ প্রমাণিতও হয়। এর শাস্তি হিসেবে পরিপ্রেক্ষিতে তিন বছরের জন্য তার বেতন গ্রেড নিম্নতর ধাপে নামিয়ে আনা হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি আবু জাফর রাশেদকে লঘুদণ্ড দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (উপসচিব) থাকার সময় আবু জাফর রাশেদ (বর্তমানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব) তৎকালীন জেলা প্রশাসকে (মুন্সিগঞ্জ) দ্বিতীয় স্ত্রীর মাধ্যমে বিপদে ফেলা ও বিব্রত করার চেষ্টা করেছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আবু জাফর রাশেদ মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মকালে তার উপস্থিতিতে তার প্ররোচনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী দৈনিক সমকাল পত্রিকার ভুয়া সাংবাদিক সেজে মুন্সীগঞ্জ জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসককে বিব্রত করা ও বিপদে ফেলতে ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সব ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে টেলিফোন করে মিথ্যা তথ্য দেন।
তিনি সরকারের একজন উপসচিব হয়েও মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন সম্পর্কে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মাধ্যমে সিনিয়র কর্তাব্যক্তিদের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় সহযোগিতা করে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী আনিত 'অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়।
তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, তিনি নোটিশের জবাব দেওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ৬ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে জাফর রাশেদের বিরুদ্ধে ওঠা ‘অসদাচরণ'র অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে মতামত দেওয়া হয়।
'সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮' এর ৪(২)(ঘ) বিধি অনুসারে তাকে '৩ বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ' লঘুদণ্ড দেওয়া হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।