ঢাকা রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


সার্ক সক্রিয় হলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো লাভবান হবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস


১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:২৬

আপডেট:
৪ মে ২০২৫ ০৪:২১

সার্ক দক্ষিণ-এশিয়ার দেশগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সংগঠন হতে পারে যদি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিরোধ ও কিছু ইস্যু বিপত্তি সৃষ্টি না করত। আমি মনে করি, দুটি দেশের মধ্যকার সমস্যা অন্য দেশগুলোকে প্রভাবিত করা উচিত না। সার্ককে সক্রিয় করে তুললে দক্ষিণ-এশিয়ার দেশগুলো লাভবান হবে। ভারত-পাকিস্তান কিছু ইস্যুর জন্য সার্ক সক্রিয় হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন অনকোলজির (এসএফও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠকে যুক্ত হন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, প্রতি বছর দক্ষিণ-এশিয়ার নেতারা যদি সাক্ষাৎ করেন, একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন, তাহলে গোটা বিশ্বের কাছে বার্তা যায় যে আমরা একসঙ্গে আছি। এটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্বের কাছে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করবে এবং এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

এসময় তিনি সার্ক ফেডারেশন অব অঙ্কোলজিস্টসের (এসএফও) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এবিএমএফ করিমের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন।

এসময় নিজের ছোট ভাই, বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক, সমালোচক ও খ্যাতনামা টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে স্মরণ করেন প্রফেসর ইউনূস। ভাইয়ের ক্যানসার শনাক্ত ও চিকিৎসার সময় তার পুরো পরিবারকে কী ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল সেসব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। সে সময় ডা. করিম কীভাবে তার চিকিৎসায় সাহায্য করেছিলেন, সেকথাও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ক্যানসার চিকিৎসায় যে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন, তা এখনো আমরা পাচ্ছি না। সার্ক যে ক্যানসার চিকিৎসাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে এটা অত্যন্ত জরুরি ও অনুপ্রেরণামূলক।

এ কনফারেন্সে সার্ককে সক্রিয় করতে দক্ষিণ-এশিয়ার দেশগুলোকে আবারও আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।