ঢাকা বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩২


মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা


১৭ মে ২০২৫ ১২:৪২

আপডেট:
১৮ জুন ২০২৫ ০৪:৫৩

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি ভবন উদ্বোধন করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া

ক্ষুদ্রঋণকে এনজিওর পর্যায়ে রাখলে ব্যাংকিং মেজাজ আসবে না। তাই আলাদাভাবে মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক করতে হবে। এর জন্য পৃথক আইন প্রণয়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৭ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরিসংখ্যানে দেখা যায় মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকগুলো সদস্যদের সঞ্চয় নিতে পারলেও বাইরের কারও ডিপোজিট নিতে পারে না। এটি একটা সীমাবদ্ধতা। তাই এর জন্য আইন করা প্রয়োজন। তবে মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকগুলোকে লাইসেন্স দেয়ার সময় কার্যপরিধি স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। আইনগতভাবে এটি একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান হবে। যেখান থেকে মুনাফা করা যাবে না। এর জন্য গ্রামীণ ব্যাংক তাদের হাতে সরঞ্জাম তুলে দেবে। তখন আর কেউ চাকরির পেছনে দৌড়াবে না।

তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকই প্রকৃত ব্যাংক, অন্যগুলো লোক দেখানো ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংক গড়ে উঠেছে বিশ্বাসের ভিত্তিতে। তাই এখানে জামানতের প্রয়োজন পড়ে না। যেটা অন্য কোনো ব্যাংকে নেই। বর্তমানে যারা নিজেদের প্রকৃত ব্যাংক বলছে তারা কেউ নেই। সেসব ব্যাংক শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক হারিয়ে যায়নি। কারণ এখানে মানুষের পরিচয় আর বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংকিং হয়। এ সময় গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমই আগামী দিনের ব্যাংকিং হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা। যেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক প্রমুখ।