১৯টি সংগঠন করে এবার ডাকসুতে সদস্য পদে লড়ছেন মুহা. মাহমুদুল হাসান
-2019-03-06-01-06-07.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের ১৯টি সংগঠনে কাজ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র মুহা. মাহমুদুল হাসান। টিএসসির পরিচিত মুখ তিনি। বন্ধু ও সহপাঠীদের কাছে তিনি তড়িৎকর্মা ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। এবার মুহসিন হলের আবাসিক এই ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) সদস্য পদে ছাত্রলীগ-সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে লড়ছেন।
বর্তমানে পড়াশুনা করছেন বাণিজ্য অনুষদের ব্যংকিং এন্ড ইনসুরেন্স বিভাগে।
মাহমুদ উল্লেখযোগ্য যেসব সংগঠনে কাজ করেছেন সেগুলো হলোঃ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ঢাবি আইটি সোসাইটিতে। সহ-সভাপতি – মুহসীন হল ডিবেটিং ক্লাব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- বাঁধন, মুহসীন হল ইউনিট, নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ঢাবি সাইক্লিং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট।

নির্বাচিত হলে যেসব কাজ করতে চান এবং আওয়াজ তুলতে চানঃ
১।ক্যাম্পাসে যত্রতত্র বহিরাগত প্রবেশ সীমাবদ্ধকরণে উদ্যোগ নেওয়া।
২। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূরীকরণ।
৩।বিভিন্ন হলে অবস্থানরত বহিরাগত ও অছাত্রদের উচ্ছেদ করা।
৪। লাইব্রেরি সম্প্রসারণ করে বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ।
৫।হলে রিডিংরুমের পরিসর বৃদ্ধি করা, নামমাত্র শিক্ষা বা গবেষণার বদলে কার্যত শিক্ষা ও গবেষণার ব্যবস্থা করা।
৬। ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান উন্নয়ন
৭। পরিবহন সংকট দুরীকরণ।
৮। গেস্টরুম কালচার সংস্কার
৯। রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য দূরীকরণ, কারযক্রমের ডিজিটাইজেশন
১০। ক্যাম্পাসে ও হলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধি।
মুহা. মাহমুদুল হাসান ক্যাম্পাসটাইমসকে বলেন, কোন ধরণের সুযোগসুবিধা ছাড়াই আমি ১৯টি সংগঠনের কাজ করেছি। তখন কেউ ভাবেওনি ডাকসু নির্বাচন হবে। ডাকসুর অবর্তমানে আমি ডাকসুর কাজগুলোই করেছি। আমি মনে করি, আমি ডাকসুতে গেলে ভালোভাবেই কাজ করতে পারব। আশা করি, শিক্ষার্থীরা আমাকে তাদের ভোটের যোগ্য বলে বিবেচনা করবেন।
এদিকে ডাকসুতে, ২৫টি পদে প্রার্থিতায় টিকেছেন ২২৯ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে ৮৬ জন নির্বাচন করবেন।
আগামী ১১ মার্চ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন।