সাকিবের এমপি হওয়া ভুলে গেলে শহীদদের সঙ্গে বেঈমানি হবে: আমিনুল হক

একসময় মাঠে ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলের শেষপ্রান্তের পাহারাদার, এখন রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় সৈনিক আমিনুল হক। জাতীয় দলের এই অধিনায়ক-গোলরক্ষক ও বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনে করেন, খেলোয়াড় হিসেবে নয়, সাকিব আল হাসানের সংসদ সদস্য হওয়া রাজনৈতিক মূল্যায়নের দাবি রাখে।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর এবং অবৈধ সংসদের একজন এমপি সাকিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে। খেলোয়াড় থাকাকালীন অবৈধ সরকারের প্রলোভনে পড়ে তার এমপি হওয়ার বিষয়টি যদি ভুলে যান, তাহলে ওই যে রক্ত ঝরেছে এবং যাদের জীবন গেছে, তাঁদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। ’
দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম ‘কালের কণ্ঠ ডিজিটাল’-এর সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘অন অ্যান্ড অব দ্য ফিল্ড’-এ অংশ নিতে বুধবার রাতে হাজির হন আমিনুল হক। কথা ছিল বিকেল সাড়ে ৫টায় আসার, কিন্তু হাতিরঝিলের জনসভা ও যানজটের কারণে সময় গড়িয়ে রাত ১০টা পেরিয়ে যায়। মধ্যরাতে শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব, যা শেষ হয় রাত গভীর হলেও তাঁর প্রাণশক্তি ছিল অবিচল।
ফুটবলের ফিটনেসটাই রাজনীতিতে কাজে দিচ্ছে। সারা দিন কথা বললেও ক্লান্ত হই না, হাসিমুখে বললেন এই সাবেক ফুটবলার, যার সাক্ষাৎ পেতে তখনো কালের কণ্ঠ কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন দলীয় কর্মীরা।
রাজনীতিতে এলেও ফুটবল ভুলে যাননি আমিনুল। সাম্প্রতিক সময়ের প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, প্রবাসীদের এনে আমরা সাময়িকভাবে উপকৃত হতে পারি। কিন্তু তৃণমূলে না গেলে সত্যিকারের উন্নতি হবে না। আগের মতো সোহরাওয়ার্দী কাপ বা মা-মণি গোল্ডকাপের মতো টুর্নামেন্ট চালু করতে হবে।
আলোচনার এক পর্যায়ে উঠে আসে ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রসঙ্গ। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমানের গ্রেপ্তার, মাশরাফি বিন মর্তুজার জনসম্মুখ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া এবং সাকিব আল হাসানের প্রবাসে অবস্থান—এসবই উঠে আসে আলোচনায়।
সাবেক খেলোয়াড়দের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে আমিনুলের কণ্ঠ ছিল মাপা, তবে সাকিব প্রসঙ্গে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দেন তিনি।