আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করল ইরান

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ ও সহযোগিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে ইরান। প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর আইএইএ’র শর্ত বা পর্যবেক্ষণের আর কোনো বাধ্যবাধকতা থাকছে না তেহরানের ওপর। এর ফলে, ইরান এখন চাইলে নিজস্ব সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের পথে এগিয়ে যেতে পারবে।
গতকাল বুধবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভির বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আইন অনুমোদন করেছেন। এর আগে, ইরানি পার্লামেন্টে এই আইনটি পাস হয়।
গ্রিন রোডে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত এইচএসসি পরীক্ষার্থীগ্রিন রোডে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত এইচএসসি পরীক্ষার্থী
সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এবং আইএইএ’র নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইরান। তেহরানের অভিযোগ— শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় সংস্থাটি কোনো প্রতিবাদ জানায়নি, যা স্পষ্ট পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ।
এমন সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, ‘ইরানের এই স্থগিতাদেশ আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের সামনে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা তা ব্যবহার না করে বিপজ্জনক পথ বেছে নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান কোনো অবস্থাতেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা মজুত করতে পারে না।’
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলছেন, যুদ্ধবিরতির মধ্যেও তেহরানের এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তুলতে পারে। তাদের মতে, যদি ইরান অস্ত্র নির্মাণ শুরু করে, তাহলে সেটি হবে ভবিষ্যতের হামলা প্রতিহত করতে নেওয়া পদক্ষেপ।
মুরাদনগরে একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যামুরাদনগরে একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
তবে বিশেষজ্ঞদের আরেকটি উদ্বেগ হলো, আইএইএ’র পর্যবেক্ষণ ছাড়া ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা দুরূহ হয়ে পড়বে। সংস্থাটি বহু বছর ধরে তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছিল।
তবে তেহরানের অবস্থান এখনো আগের মতোই— তারা বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। পাশ্চাত্যের আশঙ্কা এর বিপরীত পথেই যাচ্ছে।