ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৪ই আগস্ট ২০২৫, ৩১শে শ্রাবণ ১৪৩২


গাজা সিটিতে নতুন হামলা : সেনাবাহিনীর ‘নীলনকশা’ অনুমোদন


প্রকাশিত:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ১৮:২৫

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। ফাইল ছবি : এএফপি

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বুধবার গাজা উপত্যকায় নতুন সামরিক অভিযানের জন্য ‘কাঠামো’ অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এর কয়েক দিন আগে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের আহ্বান জানিয়েছিল।

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির ‘গাজা উপত্যকায় আইডিএফের (ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী) কার্যক্রমের মূল পরিকল্পনার কাঠামো অনুমোদন দিয়েছেন।’

তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এখনো জানায়নি, ইসরায়েলি সেনারা কবে গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটিতে প্রবেশ করবে।

এ শহরে হাজারো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, যারা পূর্ববর্তী হামলা থেকে বেঁচে পালিয়েছিল।

গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েলি বিমান হামলা গাজা সিটিতে আরো তীব্র হয়েছে। জেইতুন ও সাবরা আবাসিক এলাকায় ‘বেসামরিক বাড়িঘর, সম্ভবত বহুতল ভবনও লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা হামলা চালানো হয়েছে।’

এদিকে অভিযান পরিকল্পনা অনুমোদনের খবরটি আসার কয়েক ঘণ্টা আগে হামাস জানায়, তাদের এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল মিসরের কায়রোয় পৌঁছেছে ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা’ করার জন্য।

টানা ২২ মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক মহলে যেমন নিন্দা কুড়িয়েছে, তেমনি দেশটির ভেতরেও বিরোধিতার মুখে পড়েছে। জাতিসংঘের সহায়তায় কাজ করা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ইসরায়েল সেখানে মানবিক সহায়তার প্রবাহ ব্যাপকভাবে সীমিত করে দিয়েছে।

সরকারি হিসাবের ভিত্তিতে এএফপির সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় এক হাজার ২১৯ জন নিহত হয়।

এরপর ইসরায়েলের অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬১ হাজার ৫৯৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ তথ্যকে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে।