ধর্ষণের অভিযোগে নরওয়ের যুবরাজের ছেলে গ্রেফতার

নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেসের বড় ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং শারীরিক ক্ষতিসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এক মাস ধরে চলা তদন্তের পর, তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মারিয়াস বোর্গ হোইবির বিরুদ্ধে চার নারীকে ধর্ষণসহ বেশ কিছু অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) নরওয়ের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন।
২৮ বছর বয়সী মারিয়াস বোর্গ হোইবি নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেস মেটে-ম্যারিটের ছেলে এবং সিংহাসনের উত্তরসূরি ক্রাউন প্রিন্স হাকনের সৎ ছেলে।
অসলোর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্টুরলা হেনরিক্সবো জানিয়েছে, আগামী বছরের শুরুর দিকে হোইবিকে বিচারের মুখোমুখি করা হতে হবে। গুরুতর অভিযোগগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে গত বছর আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর মাসে তিনবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১০ মাস ধরে তদন্তের পর নরওয়েজিয়ান পুলিশ জুনে মামলাটি প্রসিকিউটরদের কাছে হস্তান্তর করে। প্রসিকিউটররা আবার পুলিশি তদন্তের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করেন।
ওইবির আইনজীবী সিএনএনকে বলেছেন, ‘শুধুমাত্র হোইবির শেষ প্রেমিকা তার বিরুদ্ধে শারীরিক ক্ষতির একটি মামলা করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে তিনি তার প্রেমিকার অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে তার প্রেমিককে শারীরিক ক্ষতি করেছেন এবং কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়েছেন। তবে হোইবি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।’
সিএনএন যখন অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করেছিল তখন নরওয়ের রয়েল হাউস কোনো মন্তব্য করনি।
পুলিশ অ্যাটর্নি জানিয়েছেন, মামলার প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে টেক্সট মেসেজ, সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং পুলিশের তল্লাশির মতো উৎস থেকে। রাজপরিবারের সদস্য হলেও হোইবিকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অন্য সাধারণ মানুষদের মতোই তার বিচার করা হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে কারাগারে যেতে হবে।
কৌঁসুলি ক্রুসজেউকসি বলেন, অভিযোগের মধ্যে রয়েছে যৌন মিলনের সঙ্গে জড়িত একটি ধর্ষণের মামলা এবং যৌন মিলন ছাড়াই ধর্ষণের দুটি মামলা, চারটি যৌন নির্যাতনের মামলা এবং দুটি শারীরিক ক্ষতির মামলা।
কৌঁসুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার হোইবির বিরুদ্ধে মোট ৩২টি ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। চারটি ধর্ষণের ঘটনার কোনো কোনোটি তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিও করেছিলেন।