ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


নারী মুক্তি নেত্রীর হাতে গৃহপরিচারিকা ভয়ঙ্কর নির্যাতনের শিকার


১৭ এপ্রিল ২০২০ ২২:১৯

আপডেট:
১৭ এপ্রিল ২০২০ ২৩:০৫

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেত্রী, বুয়েটিয়ান ইঞ্জিনিয়ার, বুয়েটের হল শাখার সাবেক ভিপি, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে অন্যতম সোচ্চারকণ্ঠ, নারী অধিকার আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র কমরেড সাইয়েদা সুলতানা এ্যানী বিরুদ্ধে গৃহপরিচারিকাকে ভয়ঙ্কর নির্যাতন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, রাজধানীর উত্তরায় এক গৃহপরিচারিকাকে ফ্রিজ সামন্য দাগ লাগার অভিযোগে ভয়ঙ্কর নির্যাতন করে বাসা থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে কমরেড সাইয়েদা সুলতানা এ্যানী বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই তরুণীর নাম পাপিয়া আক্তার মীম।

গতকাল  ১৬ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নিজ ফেসবুক পোস্টে ওই অমানবিক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন ওই তরুণী।
এমনকি ফেসবুক পোস্টের এক ভিডিওতে দেখা যায় এক নারী অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও চড়াও হচ্ছেন ওই গৃহপরিচারিকার উপর। বার বার অনুরোধ করা সত্বেও অকথ্য ভাষা ব্যবহার ও চড়াও হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায় ভিডিওটিতে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই তরুণী জানায়, উত্তরা ৩নং সেক্টরের ৭ নং রোডের ৩৩ নাম্বার বাসার ৬ষ্ঠ তলায় কাজ করতাম। অপর এক গৃহকর্মী কাজ করার সময় ফ্রিজে দাগ ফেলে দেয়। এতে বাসার মালিক (মহিলা) আমার উপর অপবাদ ফেলে এবং আমাকে ব্যাপক, মারধর করলে এক পর্যায়ে আমি প্রাণভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে চাইলে তিনি আমাকে গেট লাগিয়ে মারধর করেন। পরে, অনেক কষ্ট করে কোনরকম সেখান থেকে বের হয়ে আমি পুলিশের শরণাপন্ন হই।

গৃহ পরিচারিকা মিমের ফেসবুকের  পোস্টটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে  নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-


এই করোনার মহামারিতে মানুষ এমন হিংস্র কিভাবে হতে পারে,সবাইকে আমার এই ভিডিও টা দেখার জন্য অনুরোধ করছিআজ গরীব হয়ে জন্ম নিয়েছি বলে,বড় লোকদের হাতে মার খেয়ে চুপ থাকতে হচ্ছে, কারন পুলিশ শুধু বড়লোকদের,আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ছোট একটা জবে ঢুকেছিলাম,এর মধ্যে করোনার জন্য চাকরি শেষ পর্যন্ত করতে পারি নাই,ভাবলাম বসে থেকে কি হবে,এক পরিচিত ভাই ভাইয়ের মাধ্যমে এক বড়লোকের বাড়িতে একটা প্রতিবন্ধী মেয়ে দেখাশোনা করার জন্য কাল যাই,
সমান্য একটা ভুলের কারনে, যেই ভুলটা আমি করি নাই, ফ্রিজ পরিস্কার করা নিয়ে একটু দাগ হওয়ার কারনে, কাল থেকে আজ সকাল পযন্ত আমাকে আটকে রেখে এমন নির্যাতন করে, আমি বার বার বলছি ম্যাম আমাকে যেতে দেন,উনি পরে আমার একটা ভিডিও ধারন করে,যেখানে আমাকে জোরপূর্বক বলতে বলে যে আমি উনার বাসা থেকে
ইচ্ছাকৃত চলে যাচ্ছি, আমি মারের ভয়ে বলতে বাধ্য হয়েছি,তার পর আমি থানায় যাই কিন্তু কোন কাজ হয়নি,পুলিশ আমার সাথে আসছে ঠিক কিন্তু, উনার সাথে ফোন কথা বলে,আমাকে বলছে আপনি বাসাই যান, আমরা দেখছি বেপারটা,যানি আমি এটার আর কিছু হবে না,তাই আপনাদের সাথে কথাটা শেয়ার করলাম,মানুষ কোন সময় এমন সিদ্ধান্ত নেয় কারো বাসায় কাজ করার সেটা অবশ্যই বুঝতে পারছেন,আশা করি এটা নিয়ে কেউ কমেন্ট করবেন না,পরিস্থিতি মানুষকে অসহায় করে ফেলে, যখন মা বাবা মুখের দিকে তাকাই তখন আর কোন কিছু মাথাই আসে না,

কমরেড সাইয়েদা সুলতানা এ্যানী বিরুদ্ধে গৃহপরিচারিকাকে ভয়ঙ্কর নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।