‘সাহায্য চাইতে না পারা’পরিবারের পাশে ঢাবি ছাত্রনেতা রাহিম

করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে লকডাউনে সারাদেশ। ঘরবন্দি দেশের মানুষ। সামর্থবানরা ভালো থাকার চেষ্টায় আছেন, সামর্থহীনদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিড়ম্বনায় আছেন দুস্থ অসহায় এমনকি সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণি।
আত্মসম্মানের কারণে এ মানুষগুলো উপোষ থাকলেও হাত বাড়াতে পারছেন না। ‘সাহায্য চাইতে না পারা’ এমন পরিবারকেও দৈনিক খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান "হল সংসদ" নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবদুর রাহিম।
আমাদের দিনকে তিনি বলেন, আড়াই হাজার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত বিভিন্ন পরিবারের ঘরে গিয়ে চাল, ডাল, তেল, লবণ, সাবান, পেঁয়াজ, চিড়া পৌঁছে দিয়েছি।
আবদুর রাহিম বলেন, যাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তাদের সম্পর্কে আগেই খোঁজখবর নিয়েছি। এই মানুষগুলো নিজেদের সম্মান অটুট রাখার জন্য অনাহারে থাকলেও সাহায্যের জন্য রাস্তায় বের হবে না। হয়তো কাউকে বলবেও না।
আবদুর রাহিম বেছে বেছে এমন পরিবারের পাশে থাকছেন। তিনি বলেন, অনেক পরিবার রাস্তায়, গলির মুখে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছে। কেউ কেউ একাধিকবার খাবার নিচ্ছে। কিন্তু মধ্যম শ্রেণীর মানুষগুলো কেউ কেউ কোনো খাবারই পাচ্ছে না। তারা আত্মসম্মানের ভয় পাচ্ছে। এ ভয়ে তারা ঘর থেকেই বের হচ্ছেনা। আমি এ ধরনের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের ঘরে গিয়ে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।এটা ত্রাণ নয়, ভালবাসার উপহার।
আবদুর রাহিম বলেন, যতদিন অফিস আদালত না খুলবে ততদিন চেষ্টা করবো এ মানুষগুলোর কাছে খাবার পৌঁছে দিতে। আমার টিমে আছে । প্রতিদিন যেতে না পারলেও নিয়মিত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, অবশ্যই মানবিক চিন্তা থেকে এ উদ্যোগ নিয়েছি। সামর্থ্যে কুলালে আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবো। এ অবস্থা কতদিন চলবে তা আমরা কেউ জানি না। অন্তত আগামী একমাস সামর্থ্যবান সবাই যদি চেষ্টা করি তাহলে পিছিয়ে থাকা মানুষগুলোর ভালো থাকতে পারবে।