আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্থ হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে ক্ষতিগ্রস্থ কি আমরা একাই হবো, নাকি ভারতও হবে। পত্রপত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা যদি ২য় ও ৩য় ন্দ্রহত্তম ব্যবসায়ীক কেন্দ্র হই ভারতের জন্য। ভারত কি আমাদের বিনা পয়সায় দেয়। টাকার বিনিময়ে দেয়। বন্ধ করে দেয় দিক। গরু তো বন্ধ করে ছিলো। তো আমরা এখন গরু খায় না। বন্ধ যদি উনারা করতে চায় সেটা উনাদের ব্যপার। উনারা বন্ধ করলে উনাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এটার সাথে দুই পারের লক্ষ লক্ষ লোক জড়িত। পলিটিক্যাল বিষয় তো পলিটিক্যাল বিষয়-ই। ওগুলো পলিটিক্স উনারা করছেন। কিন্তু আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা এখনো এটাকে সার্পোট করবে না।
তিনি আরও বলেন, এতবড় বাজার বন্ধ করবে বলে আমার মনে হয় না। কাজেই ১/২ দিন অবরোধ আমরাও তো করি মাঝে মাঝে। পলিটিক্যাল অবরোধ করতেছে করুক। এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কোন কারন নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কখনো শুনেছেন সকল পলিটিক্যাল পার্টি এক জায়গায় বসে কথা বলেছে। আমার বয়স বেশি হয়েছে আমি দেখিও নাই। আমরা সব সময় বলি জাতীয় যে কোন সংকটকালিন সময় অথবা নির্ধারণ করতে হবে একটা পথ। সে টার সময়। আজ হোক কাল হোক রাজনীতিবিদরা দেশ চালাবেন। আজ হোক, কাল হোক, পরশু হোক তারাই চালাবেন। সে জায়গাতে যদি রাজনীতিবিদদের মধ্যে ঐক্যমত না হয় তাহলে জাতীয় যে পথ নির্ধারণ করার কথা সেটা তখন এলোমেলো হয়ে যায়। এখন যেহেতু সব একত্রে বসেছেন। এটা একটা বড় অর্জন, একটা উদাহরণ হয়েছে।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার ভোমরাস্থল বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টের সভাপতি আবু হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ভোমরাস্থল বন্দরের অংশীজনের সাথে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা ড.সাখাওয়াত হোসেন।
