ঢাকা রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২২শে বৈশাখ ১৪৩২


নতুন মাদক এনপিএস নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:৩৭

আপডেট:
৪ মে ২০২৫ ১১:২৩

দেশে নতুন নতুন মাদকের আবির্ভাব ঘটছে এবং তা মাদকাসক্তদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, এনপিএস (নিউ সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্ট্যান্স) নামের নতুন মাদক সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। ইয়াবার ছোবল পরিবার ও সমাজকে বিষিয়ে তুলছে। এসবের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার 'মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮'-এর প্রায়োগিক বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনার জন্য এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী।

সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ। কর্মশালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের দিনমজুর থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিত্তশালী মানুষের মধ্যে ইয়াবার ব্যবহার বেড়েই চলেছে। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের পুরনো আইন সংস্কার করে যুগোপযোগী করা হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে নতুন আইনের প্রয়োগ শুরু হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কোনো মাদক উৎপাদিত হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ ও মাদক উৎপাদনকারী দেশ থেকে আমাদের দেশে মাদক পাচার করা হয়। তিনি বলেন, নতুন আইনে ইয়াবা পাচার ও ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা আটকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ড।

গডফাদারদের জন্য মানিলন্ডারিং মামলায় শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো নতুন মাদকের আবির্ভাব ঘটলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিতে পারবে।

সচিব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাদকের চাহিদা থাকলে জোগান হবেই। চাহিদা কীভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জোগান বন্ধেরও পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন আইন প্রয়োগ শুরু হলে আশা করি মাদকের চাহিদা ও জোগান কমে যাবে।