ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


এক টাকায় উন্নতমানের খাবার


৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:২৩

আপডেট:
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:২৪

এক টাকায় উন্নতমানের শিশুদের জন্য দুপুরের খাবার

এক টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এক বেলার খাবার। যার শুরুটা হয়েছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে। এর আয়োজক বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি এ প্রজেক্টের ৭০০ দিন পূর্ণ হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

এ প্রজেক্টে যারা কাজ করছেন; তাদের জন্য কোনো পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা নেই। কারণ দেশের অসহায়-দরিদ্র মানুষের জন্যই বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এই আয়োজন। প্রথম দিকে বিনা পয়সায় খাবার বিতরণ করা হলেও পরবর্তীতে এক টাকা নির্ধারণ করা হয়।


এ পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যানন্দের ‘এক টাকায় আহার’ প্রকল্পের বেশ কয়েকটি শাখা সৃষ্টি করা হয়েছে। শাখাগুলো হচ্ছে- ঢাকার মিরপুর, চট্টগ্রামের কসমোপলিটন রোড, নারায়াণগঞ্জের বটতলা কালি মন্দির, কক্সবাজারের বৈদ্যপাড়া, রাজবাড়ীর মধুপুর, রাজশাহীর রাণী নগর, রংপুরের মাস্টার পাড়া, ময়মনসিংহের সেনবাড়ী রোড প্রভৃতি।এক টাকায় উন্নতমানের শিশুদের জন্য দুপুরের খাবার

কিশোর কুমার দাশের উদ্যোগে কল্যাণমূলক এই কাজে যুক্ত রয়েছে অনেক তরুণ-তরুণী। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে কিছু দাতা এ ফাউন্ডেশনে অর্থ দিতে শুরু করে। এ প্রকল্পের আওতায় খাবার পেয়ে থাকেন ১২ বছরের নিচে অসহায় শিশুরা আর ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বৃদ্ধরা।

মূলত পথশিশুদের জন্য এ আয়োজন হলেও প্রকল্পটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তারা পৌঁছে গেছে এতিমখানা, বস্তি, রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ছিন্নমূল, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশনসহ জনবহুল স্থানে। প্রকল্পে প্রতিদিন ৫০০ জনের রান্না হয়। এরপর ভ্যানে কিংবা রিক্শায় চলে যায় নির্দিষ্ট জায়গায়। এক টাকার বিনিময়ে যে কোনো পথশিশু কিংবা বৃদ্ধ কিনে নিতে পারে এই খাবার।

কিশোর কুমার দাশ বলেন, ‘আমরা পথে অনেক ক্ষুধার্ত শিশুকে দেখি। ওরা এক বেলা খাবারের জন্য সবার কাছে হাত পাতে। ভাবলাম অচিরেই ওদের জন্য কিছু করা দরকার। তখন থেকে ঢাকার গাবতলী ও বিমানবন্দর রেল স্টেশনে খাবার বিতরণ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির এক ঝাঁক স্বেচ্ছাসেবক এ খাবার বিতরণ করে। এত কম দামে খাবার পেয়ে খুশি শিশুরাও। বিত্তশালীদের আরও সহযোগিতা পেলে প্রকল্পটি চালিয়ে নেওয়া সহজ হবে।’