ঢাকা সোমবার, ২৫শে আগস্ট ২০২৫, ১১ই ভাদ্র ১৪৩২


জাজিরার মানুষ এত বোমা পেল কোথায়, এসপি বললেন, তাঁরা বিস্ফোরক তৈরিতে দক্ষ


প্রকাশিত:
৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৫০

শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। ভিডিওতে দেখা যায়, লোকজন বালতিতে করে হাতবোমা নিয়ে একে অপরের দিকে ছুড়ে মারছে।

আজ শনিবার সকালে বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ওরফে বোমা কুদ্দুস এবং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) নজরুল ইসলাম বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিলাশপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মূলত ঈদে বাড়িতে আসার পর লোকজন দুপক্ষে বিভক্ত হয়ে এমন হামলার ঘটনা ঘটায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

সংঘর্ষে জড়ানো ব্যক্তিরা এত ককটেল কীভাবে পেলেন জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘ওই এলাকার মানুষের দেশীয় নানা অস্ত্র ও বিস্ফোরক বানাতে পারেন ও বানানোর প্রবণতা রয়েছে। এই বিস্ফোরক তৈরি জন্য যে ধরনের উপাদান প্রয়োজন তারা কীভাবে তা হাতে পান সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে সেসব উদ্ধার করা হবে।’

আরও পড়ুন

শরীয়তপুরে শত শত ককটেল নিয়ে আ. লীগের দু পক্ষের সংঘর্ষ

এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুদ্দুসের সঙ্গে জলিলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। দুই পক্ষ কিছুদিন পরপর হাতবোমাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। একাধিক সংঘর্ষে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় কুদ্দুস ও জলিল হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে কুদ্দুস ও জলিলকে গ্রেপ্তার করে। কয়েক মাস জেল খাটার পর কিছুদিন আগে কুদ্দুস জামিনে বের হন। জলিল এখনো জেলহাজতে রয়েছেন। কুদ্দুস জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আবারও এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে উভয়ের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।