ঢাকা শুক্রবার, ৬ই জুন ২০২৫, ২৪শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


বেলকুচির গাবগাছি গ্রামে হিন্দু পাড়ার রাস্তাটিতে জনগনের চলাচলে ভোগান্তি 


৪ জুন ২০২৫ ১৪:১৩

আপডেট:
৬ জুন ২০২৫ ১০:৩২

সিরাজগঞ্জ জেলা বেলকুচি উপজেলায় ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে (শ্যামগাতি,গাবগাছি) গ্রাম বাজার হইতে আনুমানিক ৪৫০ গজ পশ্চিমে পাকা প্রধান রাস্তা থেকে ৩৫০ গজ উত্তর দিকে হিন্দু পাড়া নামে একটি ঐতিহ্যবাহী বিশাল বড় গ্রাম রহিয়াছে যেখানে বিশাল জনগণের বাস করে।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে এই রাস্তাটি উক্ত পাড়ার জনগণ ব্যবহার করে আসছেন শুধু তাই নয় এই রাস্তাটির সাথে প্রায়  ১৮ থেকে ২৪ টি পাড়া মহুলার সংযোগ রাস্তা রহিয়াছে প্রতিদিন অনেক লোকজন এই রাস্তায় দিয়ে চলাচল করে থাকেন , ছোট এই রাস্তায় দুটি ছোট কালভার্ট বা ব্রিজ রহিয়াছে  ।

এছাড়াও এই মহল্লায় শ্রী সুকুমার দাস নামক একজন কবিরাজ রহিয়াছেন তিনি সারা সপ্তাহে বিভিন্ন ধরনের রোগী চিকিৎসা করে থাকেন, তিনি সপ্তাহে শনিবার এবং মঙ্গলবার নতুন রোগী দেখেন, এছাড়াও সপ্তাহের অন্য পাঁচ দিন পুরাতন রোগী দেখে থাকেন, শনিবার এবং মঙ্গলবার তাহার কাছে কবিরাজি  চিকিৎসার জন্য  সিরাজগঞ্জ জেলা এবং কি অন্যান্য জেলা থেকে বিভিন্ন গাড়ি নিয়ে শতশত রোগী আগমন করেন এবং কি সপ্তাহর অন্য পাঁচ দিনও অনেক রোগী তাহার কাছে কবিরাজি চিকিৎসার জন্য আগমন করে থাকেন, ,অনেক রোগী আছেন যারা হাঁটতে পারেন না সেই সমস্ত রোগীগণ গাড়িতে উক্ত কবিরাজের বাড়িতে গমন করেন।

এছাড়াও এই এলাকার কেউ বড় ধরনের সমস্যায় বা অসুস্থ হলে যেমন মা-বোনদের সিজার বা অন্য কোন বড় রকম রোগে অসুস্থ হলে তাহারা এই রাস্তা দিয়েই  গাড়িতে চরে প্রদান রাস্তায় উঠে বেলকুচি, উল্লাপাড়া শহরের দিকে গমন করেন  এবং উক্ত পাড়া মহল্লার  সাথে যে সমস্ত রাস্তার সংযোগ রহিয়াছে সকল লোক এই রাস্তা দিয়েই সকল ধরনের পণ্য নেওয়া আনা  করে থাকেন । রাস্তাটি বালু মাটি দিয়ে ভরাট করা এবং রাস্তার দুই সাইডে বড় বড় ডোবা সেই কারণে বৃষ্টি হলেই রাস্তার সমস্ত বালু মাটি বৃষ্টির পানির সাথে ডোবায় চলে যায় প্রতিবছর স্থায়ী প্রতিনিধি এবং এলাকার লোকজন নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তায় মাটি ভরাট করে থাকেন কিন্তু সেটা কোন কাজের কাজ হয় না ,বর্ষাকাল আসলেই এই রাস্তা  জনগনের চলাচল কষ্ট হয় ।

বালুমাটি বৃষ্টির পানিতে ডোবায় গিয়ে জমা হয় যার দরুন  কালভার্ট বা ব্রিজ দুটি একদম মাটি শূন্য হয়ে পড়েছে, ব্রিজের দুই সাইডের বালু মাটি গুলো ব্রিজের এক সাইট দিয়ে বের হয়ে ডোবার দিকে চলে যায় ব্রিজ বা কালভার্ট দুটি  মাটি শূন্য হয়ে পড়ে  ব্রিজ দুটি ভাসমান অবস্থায় রহিয়াছে, ব্রিজ দুটি ভেঙে ক্ষতবিক্ষত এবং কি ব্রিজের সকল সাইডে ফাটল ধরেছে বর্ষা হলে ব্রিজ বা কালভার্ট দুটি হয়তো ডোবায় তলিয়ে যেতে পারে ।

বর্ষা  হলে রাস্তার সমস্ত মাটি বৃষ্টির পানির সাথে ডোবায় গিয়ে জমা হয় জনগণের চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে এ রাস্তায় বর্ষাকালে এলাকার সকল জনগণ চলাচল করতে পারেন না।

শ্রী ভজন চন্দ্র বলেন আমাদের জন্মের পর থেকে এই রাস্তাটি আমরা ব্যবহার করে আসছি খুব কষ্ট করে আমাদের সারা বছর চলাচল করতে হয়,বিশেষ করে বর্ষাকালে রাস্তাটি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

অত্র এলাকার মুরুব্বী আবু সাঈদ বলেন ,রাস্তাটি যদি স্থায়ীভাবে মেরামত না করা হয় তাহলে আমাদের বাড়ি ঘর সহ রাস্তার সাথে বর্ষা বা বন্যার পানিতে ভেসে যাবে ।

স্থায়ী লোকজন দাবি করেন রাস্তাটি স্থায়ীভাবে মেরামত করার জন্য আহ্বান জানান । বিগত সময়ে বেলকুচি উপজেলা প্রশাসন কয়েক দফায় রাস্তাটি পরিদর্শন করলেও স্থায়ী কোন কাজ করেননি।

উক্ত মহল্লার এলাকার সকল জনগণের একটাই দাবি ,রাস্তাটি স্থায়ীভাবে মেরামত  এবং কালভার্ট বা ব্রিজ দুটি পুনরায় মেরামত করে রাস্তাটি ভালো মাটি দিয়ে ভরাট করে স্থায়ীভাবে পাকা করে দিলে এলাকার জনগণের চলাচলের ক্ষেত্রে অনেক অনেক উপকৃত হবে সবাই।