উঠানের গাছে ঝুলছিল স্বামীর লাশ, মাঠে স্ত্রীর মরদেহ

যশোরের বেনাপোল থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পরে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। তবে স্বজনদের দাবি তাদের হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতের কোনো একসময় বেনাপোল বন্দর থানার সীমান্তবর্তী রঘুনাথপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান থানার ডিউটি অফিসার এসআই রাশেদুল ইসলাম।
ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হওয়া মনিরুজ্জামান (৫২) ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর। তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৪৫) একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।
এ দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ে, মাসুক (২০) ও মনিরা (১৮)। মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, শনিবার সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাড়ির উঠানের আমড়াগাছ থেকে মনিরুজ্জামানের গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। অপরদিক তাদের বাড়ির উত্তর পাশের ফাঁকা মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শ্বাসরোধে হত্যা করা রেহেনা খাতুনের লাশ।
রঘুনাথপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, মনিরুজ্জামান দিনমজুরের কাজ করতেন। মানুষের কাছে চেয়েচিন্তে সংসার চালাতেন। অভাব অনাটনের কারণে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় বাকবিতণ্ডা হতো।
তবে মনিরুজ্জামানের বোন জামাই সাদেক আলি বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাওয়া-দাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা সবাই ঘুমাতে যান। পরে গভীর রাতে ভাই-ভাবীকে ঘরে দেখতে না পাওয়ায় ভেবেছিলেন গরমের কারণে প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুমাতে গিয়েছেন। পরে সকালে উঠে বাড়ির উঠানে লাশ দেখতে পান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাতে বাড়িতে কোনো ঝগড়া-বিবাদ হয়নি, সবাই একসঙ্গে কথাবার্তা শেষে খেয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলেন। তাই তাদের আত্মহত্যার কোনো কারণ নেই।
ওসি রাসেল মিয়া বলেন, স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারা আত্নহত্যা করেছে কিনা কিংবা তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে কি না বিষয়টি এই মুহূর্ত বলা সম্ভব নয়।
“তবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী নিজে আত্নহত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”