ধর্ষণের শিকার বাকপ্রতিবন্ধী শিশুটি লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে

‘ধর্ষণের শিকার’ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাকপ্রতিবন্ধী ফুল বিক্রেতা এক শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। সাত বছরের শিশুটিকে সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজ গেট এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
প্রথমে তাকে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ৩টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শিশুটি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালের মুখপাত্র চিকিৎসক শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, “শিশুটিকে ওসিসিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক। আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি।”
ধর্ষণের শিকার শিশুটির চাচা জানান, শিশুটি প্রতিদিন বিকালে ফুল সংগ্রহ করে বাজারে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতো। তার মা নেই। বাবা রিকশাভ্যান চালায়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আলামত হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা অভিযুক্তকে শনাক্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তারা এ ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
তাহেরপুর পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, “একজন প্রতিবন্ধী শিশুর ওপর এমন পাশবিকতা- এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিচার চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে।”