ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


ক্ষুদ্র শিল্প ও কৃষিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক


১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:১৯

আপডেট:
১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:২০

ঢাকা: এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কটেজ, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রশিল্প ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা দিচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছাতে প্রথাগত শাখানির্ভর ব্যাংকিং ধারণা থেকে বের হয়ে প্রযুক্তিনির্ভর উপশাখা সেবা চালু করেছে। ব্যাংকটির মূল লক্ষ্য অফলাইন থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটাইলজড অনলাইন সেবা চালু। এতে ব্যাংকের করপোরেট সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা সহজ হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল এসব কথা বলেন। এসময় ব্যাংকটির পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান এ এম সাইদুর রহমান, উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুখতার হোসেন, অতিরিক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. তালহা, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান কবীর আহমেদ ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার হারুনুর রশিদসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এস এম পারভেজ তমাল বলেন, চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের ঋণ দিচ্ছে। বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থাগুলোর (এনজিও) মাধ্যমে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মানুষের সেবা প্রদানকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বুথ ও উপশাখা স্থাপন করছে ব্যাংকটি।

তিনি বলেন, সারাদেশের ৫৫০টি পয়েন্টে এনআরবিসি ব্যাংক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এছাড়া গত তিন বছরে ব্যাংকটি আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণসহ আর্থিক সূচকগুলোতে ব্যাপক উন্নতি করেছে।

২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা পারভেজ তমাল আরও বলেন, প্রবাসীদের স্বপ্নের ব্যাংক এনআরবিসি। ব্যাংকটির মূল লক্ষ্য মানুষের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবাদান করা। এরই মধ্যে সারাদেশে ৩৬৭টি উপশাখা চালু করা হয়েছে, যার ৯০ শতাংশ গ্রামে অবস্থিত। গরীব মানুষের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি বিআরটিএ লাইসেন্স, ইটিআইএন, অনলাইন জমি রেজিস্ট্রেশন অর্থ আদায় কার্যক্রমে চতুর্থ প্রজম্মের এনআরবিসি ব্যাংক বছরে প্রায় ৭৪ লাখ মানুষকে সেবা দিচ্ছে। এছাড়া বিদেশি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে আজ অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট উদ্বোধন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের ব্যাংকের উদ্দেশ্য ছিল প্রবাসীদের অর্থ দেশের বিনিয়োগে নিয়ে আসা ও রেমিট্যান্স বাড়ানো। কিন্তু আমাদের ব্যাংকের লাইসেন্স দেশের অন্যান্য তফসিলি ব্যাংকের মতো। ফলে প্রবাসীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বাধার মুখে পড়ছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এমডি মো. মুখতার হোসেন বলেন, করোনাকালে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক নিজস্ব উদ্যোগেও ঋণ দিচ্ছে। করোনাকালে ২০২০ সালে অনেক কঠিন ছিল। তবে আগামী বছর কেমন হবে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বাড়তে পারে। তবে পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমরা সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।