ময়লা-আবর্জনা ভোগান্তিতে ওয়ারীবাসী

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ারী থানার বনগ্রাম রোডের ওয়াসা ভবনসংলগ্ন এলাকায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ রাখা হয়েছে। ঠিক তার পাশেই শহীদ মোজাফফর হোসেন মোল্লার নামে নির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এবং ওয়াসার নলকূপ রয়েছে। এখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা নিয়মিত পানি নিয়ে ব্যবহার করে। পানি নিতে এলে লাইনে দাঁড়াতে হয়।
কিন্তু ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে দাঁড়িয়ে থাকা খুবই কষ্টকর হয়ে যায় বলে অভিযোগ করে এলাকাবাসী। এ ছাড়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওয়াসার নলকূপ থেকে খাবার পানি নেওয়ার জন্য এলাকার লোকজন এসেছে। বেশি ভিড় হওয়ার কারণে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।
পাশেই ১৯৭২ সালে শহীদ মোজাফফর হোসেন মোল্লার নামে নির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। এখানেই এলাকার সব ময়লা-আবর্জনা নিয়ে এসে জড়ো করা হচ্ছে। যে কারণে এখানে যে একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে—সেটি বোঝার উপায় নেই। এমনকি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দিয়ে গেলে নাকে রুমাল দিয়ে যেতে হয়। শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের ওপর ময়লা-আবর্জনা রাখার কারণে এলাকার মানুষ ক্ষোপ প্রকাশ করেছে।
পানি নিতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখান থেকে নিয়মিত পানি নিয়ে যাই। এলাকার সবাই এখান থেকে পানি নিতে আসে তাই বিভিন্ন সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু পাশেই ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থাকায় দাঁড়ানো যায় না। কিন্তু কি করব, পানি তো—লাগবেই!’ নিউ সুপার ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং দোকানের মালিক ইমতেয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে এখানে টেকাই দায়।
এলাকাবাসী এখানে ময়লা রাখার বক্স দেওয়ার জন্য বারবার দাবি করে এলেও কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দেয়নি।’ স্থানীয় বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের ওপর ময়লা-আবর্জনা রেখে শহীদদের অসম্মান করা হয়েছে। দ্রুত এ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ সংস্কার এবং ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার আবু আহম্মেদ মান্নাফী দেশের বাইরে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।