ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


হুমকির মধ্যেই ট্রাম্প-এরদোয়ান ফোনালাপ


১৫ জানুয়ারী ২০১৯ ২৩:০১

আপডেট:
১১ মে ২০২৪ ১১:০৯

কুর্দিদের ওপর হামলা হলে তুরস্কের অর্থনীতি ধসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কুর্দিদের ওপর হামলা হলে তুরস্কের অর্থনীতি ধসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে হুমকির পরদিনই সোমবার সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আলজাজিরা জানায়, উত্তর সিরিয়ায় কুর্দিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাকযুদ্ধের মধ্যেই এই ফোনালাপ হয়েছে।


রোববার এক টুইটে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর ওপর তুর্কি সেনাবাহিনী হামলা চালালে দেশটির অর্থনীতি ধসিয়ে দেওয়া হবে।’

ফোনালাপের বিষয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সিরিয়ার কুর্দিদের সঙ্গে তুরস্কের কোনো বিরোধ নেই বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানিয়েছেন এরদোয়ান। আঙ্কারা কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে চায় যারা তুরস্কের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

‘দুই নেতা তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপত্তা এলাকা তৈরির ধারণা নিয়েও আলোচনা করেন’ বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

পরবর্তীতে ট্রাম্পও এক টুইটে ‘সেফ জোন তথা নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি ‘সেফ জোন’ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যারা আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ওয়াশিংটন তাদের নিরাপত্তা দিতে চায় এবং সিরিয়া থেকে তুরস্কে হামলা চালানোও প্রতিরোধ করতে চায়।



সম্প্রতি সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। অন্যদিকে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে মানবিজে অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে তুর্কি সেনাবাহিনী। এনিয়ে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে সেনা প্রত্যাহার বিলম্বিত করারও ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউজ।