ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ৭০ হাজারের বেশি মৃত্যু

ইয়েমেনে চলমান দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণে মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে নতুন একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে। ২০১৬ সালের শুরু থেকে চলতি মধ্য-এপ্রিল পর্যন্ত হিসেবে রয়েছে এতে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংঘাত বিষয়ক পর্যবেক্ষক এসিএলইডি তথা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট। সংস্থাটি ৭০ হাজার ২০০ মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
যদিও জাতিসংঘ ও বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম বলে থাকে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ হাজার থেকে ১৪ হাজারের মধ্যে। কিন্তু এসিএলইডি জানায়, সর্বশেষ পাঁচ মাসেই পশ্চিম এশিয়ার দেশটিতে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
রিয়েল-টাইম তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এই প্রতিবেদন অনুসারে বিদ্রোহী ও তাদের মিত্রদের চেয়ে বেশি বেসামরিক মানুষ মরেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ও মিত্রদের হাতে। ২০১৬ সাল থেকে জোটের লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি হামলায় মারা গেছে ৪ হাজার ৮শ’ জন। অন্যদিকে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় মারা যায় ১ হাজার ৩শ’। অর্থাৎ, সৌদি বাহিনীর হাতে মৃত্যুর হাত ৪ গুণ বেশি। এসিএলইডি’র প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরে এখনো পর্যন্ত ৩৮০ জন বেসামরিক ব্যক্তি সরাসরি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।
ক্ষমতা দখলের এই লড়াই শুরু হয় হয় ২০১৫ সালে। এর এক পক্ষে আছে বিদেশি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়া আবদ-রাব্বু মনসুর হাদি, অন্যদিকে আছে আনসার আল্লাহ নামে পরিচিতি হুতি আন্দোলন।
দুই পক্ষ জাতীয় সরকার গঠনের দাবি করছে। হাদি ও তার মিত্রদের দখলে আছে এডেন নগরী, প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রণে আছে রাজধানী সানা।
ইউএনডিপি’র এক প্রতিবেদন প্রকাশের দুইদিনের মাথায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করলো এসিএলইডি। জাতিসংঘের সংস্থাটি জানায় ২১ বছরের সংঘাতে দেশটিতে মানব উন্নয়ন উল্টো দিকে মোড় নিয়েছে।
এ ছাড়া যুদ্ধের কারণে দেশটির খাদ্য সংকট ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। প্রতি ১২ সেকেন্ডে একটি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে ইউএনডিপি জানায়। আর চলতি বছরের শেষদিকে সব মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।